নিউজ ডেষ্ক- জ্বালানি তেলের মুল্য বৃদ্ধির অজুহাতে আবারও বেডেছে ডিমের দাম। মাত্র চার দিনের ব্যাবধানে ডজন প্রতি ডিমের দাম ৯-১০ টাকা বেড়েছে। ব্যাবসায়ীরা বলছে, এই মুহূর্তে মুল্য বৃদ্ধির কোন কারণ না থাকলেও সমিতি থেকে দাম বাড়ানো হয়েছে। সেই কারণে তারাও বেশি দামে ডিম ব্রিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। দেশের বাজারে চারদিন আগেও প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছিলো ১১৫-১২০ টাকা, সেখানে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকা।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। উৎপাদন ঘাটতি অথবা সরবরাহ ব্যাঘাত না থাকলেও এভাবে মুল্য বৃদ্ধির ব্যাপারটা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন না ব্যাবসায়ীরা। এমন ঘটনার বার বার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে ক্রেতারা। অনেকেই অভিযোগ তুলেছে একটি মহল ইচ্ছে করেই বাজারে অস্থিরতা ছড়াচ্ছে।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে বাজার করতে এসেছিলেন কারখানা শ্রমিক রেজওয়ানুল ইসলাম বাঁধন। এ সময় তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, জ্বালানি তেলের মুল্য বৃদ্ধির অজুহাতে দেশে সব জিনিসের দাম বাড়ানো হয়েছে। কয়েকদিন আগেও ডিমের দাম বেড়েছিলো। সরকার বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও আগের মুল্যে নামিয়ে আনতে পারেনি। তিনি বলেন, এভাবে যদি সব জিনিসের দাম বাড়তে থাকে, সেটা যদি কমানো সম্ভব না হয় তাহলে খেটে খাওয়া মানুষের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।
অপর আরেকজন ক্রেতা ব্যাংক কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ বলেন, এই মুহ্রতে ডিমের দাম বাড়ার কোন যোক্তিক কারণ দেখছি না। শুধু ডিম না যেভাবে সব কিছুর দাম বাড়ছে এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে অদুর ভবিষ্যৎ এর ফল ভালো হবে না। তিনি বলেন, আজকে শুধু ডিমের দাম নয়, বাজার ঘুরে দেখুন সব কিছুর দাম বেড়েছে। আমরা শুধু ডিম, তেল, মাছ, মাংসের কথা বলি। খবর নিয়ে দেখেন বাজারের অবস্থা কি ভয়াবহ।
খুচরা ডিম বিক্রেতা মুশফিক বলেন, আমাদের আসলে কিছুই করার নাই। আমরা কম দাম দিয়ে ডিম কিনলে কম দামে বিক্রি করবো। কিন্তু আমাদের যদি বেশি দামে ডিম কিনতে হয়, তাহলে আমরা কিভাবে কম দামে বিক্রি করবো। এসবের জন্য সিন্ডিকেট দায়ী আপনারা তাদের ধরেন সব সমাধান পেয়ে যাবেন।
প্রসঙ্গত, দেশে ডলারের দাম বাড়া ও টাকার মুল্য কমার সাথে সব কিছুর দাম বেড়েই চলেছে। এতে সাধারণ মানুষের জীবন-যাপনে বড় ধরণের প্রভাব পড়েছে।