প্রত্যাহার করা হলো নারায়ণগঞ্জে গুলি চালানো সেই ডিবির এসআই কনককে

বাংলাদেশ breaking subled

অবশেষে নারায়ণগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে চাইনিজ রাইফেল হাতে গুলি চালানো ডিবি পুলিশের এসআই মাহফুজুর রহমান কনককে ক্লোডজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ৮ সেপ্টেম্বর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের একটি সূত্র। সংঘর্ষের সময় গুলিতে যুবদল কর্মী শাওন প্রধান নিহতের ঘটনার পরই এসআই কনককে ডিবি শাখা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে জেলার নবাগত পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলের সরকারি মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে তিনি কোনো সাংবাদিকের ফোন ধরেননি বলে জানা গেছে। তবে জেলা পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, ওইদিনের ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের এস আই মাহফুজুর রহমান কনককে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে রাখা হয়েছে।

এই ঘটনায় কয়েকদিন আগে ডিবির এসআই কনক ভোলা জেলা থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশে যোগদান করেন। গত বৃহস্পতিবার ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় র‌্যালিতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে- মিছিলের পেছন থেকে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশও পাল্টা টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যেই পুলিশ লাইনসের কনস্টেবল লিটনের কাছ থেকে তার নামে ইস্যুকৃত চাইনিজ রাইফেল নিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মাহফুজুর রহমান কনক গুলি লোড করে বিভিন্ন অঙ্গ-ভঙ্গিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ছোড়ে। ওই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন যুবদল কর্মী শাওন প্রধান।

এই ঘটনার পর থেকে বিএনপি দাবি করে আসছে- এসআই কনকের গুলি বুকে বিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন শাওন। এ ঘটনায় সারাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছে। পুলিশের ওই সূত্রটি আরও জানায়, শাওন প্রধানের মৃত্যুর ঘটনাটি নতুন পুলিশ সুপার যোগদানের পর ঘটায় নারায়ণগঞ্জ পুলিশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে রয়েছে। ডিবির এসআই কনককে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে এটা নিশ্চিত। তবে জেলার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা এ নিয়ে কোনো বিষয় গণমাধ্যমে না বলতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আমীর খসরু বলেন, আমি কিছু জানি না। একই কথা জানিয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জাহেদ পারভেজ বলেন, আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *