তেল রাশিয়ার। কিন্তু কি দামে দেশটির কাছ থেকে তেল কিনতে হবে, আরও গভীরভাবে দেখলে কী দরে রাশিয়া তেল বেচবে তা ঠিক করে দেবে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জি-৭ গোষ্ঠী।
শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ সাত দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও জাপানের অর্থমন্ত্রীরা এদিন এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বৈঠক শেষে দেওয়া জি-৭ এর বিবৃতি অনুযায়ী, তেলের মূল্য নির্ধারণ পরিকল্পনা রাশিয়ার রাজস্ব কমানোর জন্য বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে। এতে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর ব্যয় কমে আসবে।
নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দামে কেউ যদি রাশিয়ার তেল কেনে তবে শিপিং কোম্পানিগুলো সেই তেল বহনে সমুদ্রে বাধা দেওয়া হবে। জি-৭ দাবি করছে, রাশিয়ার সঙ্গে যারা এখন অনুমোদনভাবে ব্যবসা করছেন তাদের ওপর মূল্য নির্ধারণের কাজ করবে।
জি-৭ জোটের দেশগুলোর কাছে তেল বিক্রি করবে না রাশিয়া : যেসব দেশ রাশিয়ার জ্বালানি তেলের দাম বেঁধে দিতে চায় তাদের কাছে তেল বিক্রি করবে না বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। মূল্যসীমা বেঁধে দেওয়ার এ পদক্ষেপ বিশ্বের তেলের বাজারকে উলেখযোগ্যভাবে অস্থিতিশীল করে তুলবে বলে মন্তব্য করেছে মস্কো। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, যেসব কোম্পানি মূল্যসীমা আরোপ করবে তারা আর রাশিয়ার তেল পাবে না।
বাজারের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন নীতিতে আমরা তাদের সঙ্গে আর সহযোগিতা করব না। পাশাপাশি কৌশলগতভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিল রাশিয়া। দেশটির সরকার চালিত তেল-গ্যাস সংস্থা গ্যাজপ্রম নিজেদের প্রধান নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের সময়কাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
পুনরায় চালুর ব্যাপারে নির্দিষ্ট কিছু জানানো হয়নি। ইউরোপে গ্যাস সরবরাহের জন্য প্রধানত এই পাইপলাইনটিই ব্যবহার করা হতো। দ্য গার্ডিয়ান। সম্প্রতি, রাশিয়ার তহবিল প্রবাহে বাধা সৃষ্টির ইচ্ছা পোষণ করে জি-৭।
সদস্য দেশগুলো, রুশ তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে সম্মতি পোষণ করেছে। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই দেওয়া হয় ঘোষণাটি। গ্যাজপ্রম জানায়, ‘একটি লিক শনাক্ত হওয়ার পরে সরবরাহ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। মেরামত সম্পূর্ণরূপে শেষ না হওয়া পর্যন্ত পাইপলাইন পুনরায় চালু হবে না।’