নিউজ ডেষ্ক-উদ্বোধনের অপেক্ষায় পিরোজপুরের কচা নদীর বেকুটিয়া পয়েন্টে নির্মিত অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। কাজ শেষ হয়েছে গত প্রায় দুই মাস আগে।
আগামী ৪ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হবে চালু হয়নি। বেকুটিয়া সেতু নামেই এ সেতুটি পরিচিতি লাভ করেছে।
জেলা প্রশাসক মো. জাহেদুর রহমান জানান, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটি উদ্বোধন করবেন। আর ওই দিন থেকে সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
পিরোজপুর জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২০১৮ সালের অক্টোবর সেতুটির ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে নির্মিত সেতুটি ৯টি স্প্যান ও ১০টি পিলার বিশিষ্ট। এর দৈর্ঘ্য ৯৯৮ মিটার ও প্রস্থ ১৩ দশমিক ৪০ মিটার। সেতুটির নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৮৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৫৪ কোটি টাকা চীন এবং ২৪৪ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে। ৪২৯ মিটার ভায়াডাক্টসহ ডাবল লেনের সৈতুটির দৈর্ঘ্য ১৪২৭ মিটার এবং প্রস্থ ১০ দশমিক ২৫ মিটার। সেতুটি জেলার কাউখালী উপজেলার বেকুটিয়া অংশ ও পিরোজপুর সদর উপজেলার কুমিরমারা প্রান্তে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটি খুলে দিলে সড়ক পথে বরিশাল বিভাগের সঙ্গে খুলনাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১৬টি জেলার যোগাযোগ সহজ হবে। তাতে ব্যবসা ও জীবনমানেও পরিবর্তন আসবে এ অঞ্চলের মানুষের।
সেতুটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মাসুদুর রহমান সুমন জানান, চায়না রেলওয় ১৭তম ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আওতায় ‘চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ রিকোনিসেন্স ডিজাউন ইনস্টিটিউট’ সেতুটি নির্মাণ করে। গত ৭ আগস্ট চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর উপস্থিতিতে ঢাকায় চীনা দূতাবাসের ইকনোমি মিনিস্টার বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি হস্তান্তরের দলিল স্বাক্ষর করেন।
পিরোজপুর সদর বাজারের কাগজ ব্যবসায়ী ও জেলা উদীচির সাধারণ সম্পাদক মো. খালিদ আবু জানান, বেকুটিয়া সেতুটি খুলে দিলে পিরোজপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা ক্ষেত্রে ব্যাপক সফলতা খুঁজে পাবেন। পাশাপাশি বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা জেলার সঙ্গে যশোর, খুলনার দূরত্ব অন্তত এক ঘণ্টা কমে যাবে। আর পিরোজপুর হবে এক সম্ভাবনাময় জেলা।