নিউজ ডেষ্ক- আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জিয়াউর রহমান যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তা প্রমাণের জন্য রকেট সায়েন্স লাগে না। তার কর্মকাণ্ডই প্রমাণ করে তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
মারা না গেলে জিয়াউর রহমান এই মামলার আসামি হতেন বলেও জানান তিনি।
বুধবার (২৪ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে যারা ষড়যন্ত্র করেছেন, তাদেরকে চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠনের বিষয়ে অনেকেই এখন সোচ্চার। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, সময়মত এ কমিশন অবশ্যই গঠন করা হবে এবং এর মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা হবে। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা কমবেশি চিহ্নিত। তাদের কর্মকাণ্ডকে দলিল হিসেবে সংরক্ষণের জন্য কমিশন প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, ‘উইচ হান্টিং’ বা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই কমিশন গঠন করা হবে না। ১৯৭৫ সালের বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে বদলে দেয়ার জন্য যে কলঙ্কিত প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছিল, যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিলে তার সঙ্গে কারা কারা জড়িত ছিল, নতুন ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে সেটা জানানোর জন্যই এই কমিশন গঠন করা হবে। এছাড়া কাদের ব্যাপারে তাদের সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার সেটা জানানোও এই কমিশনের উদ্দেশ্য।
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এমপি, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, এডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু প্রমুখ বঙ্গবন্ধুর জীবন-আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।