আন্টির নামে কি তাহলে এই ২০ কোটির মামলা হবে: মাহি

বিনোদন breaking subled

নিউজ ডেষ্ক- অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত ও মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ সিনেমাকে ঘিরে আলোচনা থামছেই না। তবে সব আলোচনাই যে ইতিবাচক, এমনটিও না। সম্প্রতি এই সিনেমার পরিচালক সুমনের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করেছে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। গত বুধবার (১৭ আগস্ট) ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলাটি করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘হাওয়া’ সিনেমায় একটি শালিক পাখিকে খাঁচাবন্দি দেখানো হয়েছে। এবং এক পর্যায়ে সেটাকে পুড়িয়ে পাখিটির মাংস খেয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। যদিও নির্মাতা সুমনের দাবি, গল্পের প্রয়োজনেই কিছুক্ষণ পাখিটিকে খাঁচায় রাখা হয়। এরপর শুটিং শেষে পাখিটিকে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। আর যে মাংস খাওয়া দেখানো হয়েছে, সেটা আসলে মুরগির।

‘হাওয়া’র মতো দর্শকনন্দিত সিনেমার বিরুদ্ধে এমন মামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ সিনেমা ও সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষেরা। অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এবার প্রতিবাদ জানালেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। ফেসবুক লাইভে এসে এই নায়িকা বলেন, ‘আমি এক আন্টির বাসায় বেড়াতে এসেছি। এখানে এই পাখিটা আছে, এটি একটি ময়না পাখি। ও এখনো কথা বলা শেখেনি, খুব ছোট। যেটা বলার জন্য এই লাইভ করছি, তাহলে কি এই আন্টির নামে ২০ কোটি টাকার মামলা হবে? কী করা উচিত? আন্টি যে এই ময়না পাখিটা পালে, তার নামে কি ২০ কোটি টাকার মামলা করা উচিত?’

মাহি আরও বলেন, “আমার বাসায় যদিও নেই, তবে দেশের কোটি কোটি বাসায় এরকম ময়না পাখি, বিভিন্ন পশুপাখি পালা হয়। যদি সবার নামে মামলা না হয়, তাহলে কেন ‘হাওয়া’র নির্মাতার বিরুদ্ধে মামলা করা হলো? আজব একটা কারণে মামলাটি করা হলো, আমি জানি না এর মধ্যে কী আছে।”

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে পরিবর্তন আনার আহ্বান জানিয়ে মাহি বলেন, ‘জানি না এই আইনে কী আছে; যদি থাকে তাহলে বলব, এই আইনে পরিবর্তন আনা উচিত। আমার এরকম অনেক সিনেমা আছে, যেখানে আমরা পাখি খাঁচায় বন্দী দেখিয়েছি। তাহলে কি সেই সিনেমার বিরুদ্ধেও মামলা হবে? এটা তো একটা চিন্তার বিষয়।’

ভালো সিনেমার পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে মাহিয়া মাহি বলেন, “একটা ভালো জিনিসের পেছনে কেন আমরা লাগি, আমি বুঝি না। এই জিনিসগুলো আসলে বদলানো উচিত। যে বা যারা এই মামলা করেছেন, এগুলো করবেন না। এমন মনোভাব পরিবর্তন করে ফেলুন। এরকম একটা মামলা দিয়ে আমাদের সংস্কৃতি, এত সুন্দর একটা সিনেমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে, এটা আসলে আমার খুব খারাপ লাগছে। চলুন সবাই মিলে ‘হাওয়া’ দেখতে যাই, ‘পরাণ’ দেখতে যাই। ভালো সিনেমার পাশে থাকি, ভালো সিনেমাকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করি। এরকম নিচ থেকে পা টেনে না ধরি।”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *