নিউজ ডেষ্ক- মুন্সিগঞ্জের চরমুক্তারপুরে আবাসিক ভবনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইয়াছিন (৫) ও নোহর (৩) নামে দুই শিশু মারা গেছে। সম্পর্কে তারা ছিলেন আপন ভাই-বোন।
রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে দুই ভাই-বোনের মৃত্যু হয় বলে জানা যায়।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে ওই দুই শিশুর বাবা কাউছার ও মা শান্তাও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব খান ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড ইনস্টিটিউট সূত্র এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে ওসি (তদন্ত) রাজিব খান বলেন, “আগুনে দগ্ধ দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঢাকায় ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে শিশু দুটোর মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। শিশুর বাবা কাউছার ও মা শান্তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। বর্তমানে তাদের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।”
বিস্ফোরণের বিষয়ে রাজিব খান বলেন, “ধারণা করা যাচ্ছে, গ্যাস লিকেজের কারণে বিস্ফোরণ হতে পারে। ঘটনার তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানানো যাবে।’
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন বলেন, “গতকাল(বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইয়াছিন মারা যায়। তার শরীরের ৪৪ শতাংশ আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়েছিল। তার বোন নোহর মারা যায় রাত সোয়া ৯টার দিকে। তার শরীরের ৩২ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
তিনি বলেন, “তাদের বাবা কাওছার ও মা শান্তাকে বর্তমানে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। কাওছারের শরীরের ৫৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। আর শান্তার শরীরের ৪৮ শতাংশ দগ্ধ। তাদের দুজনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক।”