নিউজ ডেষ্ক- বাড়ির ছাদ যেন হয়ে উঠেছে একেকটি ফুল, ফল ও সবজির বাগান। শহরে মানুষ চাষাবাদের জমি না পেলেও বাড়ির ছাদেই ফুল, ফল ও সবজির চাষ করছে। এতে ছাদ বাগান থেকে ফল ও সবজির পারিবারিক চাহিদা মিটছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে দিন দিন বাড়ছে ছাদবাগান। দেশি-বিদেশি নানা জাতের ফুল-ফল ও বনজগাছে শোভা পাচ্ছে অধিকাংশ বাড়ির ছাদ। গাছের ডালে থোকায় থোকায় ঝুলছে বিষমুক্ত রং-বেরঙের ফল। বাগানের গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বাগান মালিকরা।
একটা সময় আবাদি জমিতেই বাগান গড়ে উঠলেও এখন ঘনবসতির শহর ঠাকুরগাঁওয়ের অধিকাংশ বাড়ির ছাদে গড়ে উঠেছে বাগান। বাড়ির মালিকরা অবসর সময় কাটানো জন্য ছাদে বাগান গড়ে তুলেছেন। অল্প আকারে বাগান করলেও এখন বাগানের জনপ্রিয়তা বেড়েছে সবাই বড় করে বাগান করছেন।
ছাদে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে জাপানের কিং চাকাপাত, মিয়া জাকি, থাই ব্যানানা, কাটিমন আমসহ জাম্বুরা, কতবেল, মালটা, কামরাঙ্গা, আমরা, ডালিমসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফল। তেমনি বেড়ে ওঠা নানা রকম ফুল গাছের সৌন্দর্য ছড়ানোর পাশাপাশি বনজগাছের ছায়ায়ও শীতল থাকছে বাড়ির ছাদ। আর এসব বাগান পরিচর্যায় বাড়ির ছাদেই মোটরচালিত সেচ ব্যবহার করছেন বাগান মালিকরা।
ছাদবাগানের উৎপাদিত এসব বিষমুক্ত ফল যেমন পুষ্টির চাহিদা বহুগুনে পূরণ করছে। তেমনি পরিবেশ সুরক্ষায় ভূমিকা রাখছে ছাদবাগান। কৃষি বিভাগের পরামর্শ পেলে ছাদবাগানের পরিধি বাড়ার পাশাপাশি ফল উৎপাদনে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বাগান মালিকদের।
ছাদবাগান গড়ে তোলা ফরহাদ হোসেন, সাখোয়াত হোসেন, মিন্টুসহ অনেকে বলেন, মালিকদের নিজ ইচ্ছায় শহরের অধিকাংশ বাড়িতেই ছাদবাগান গড়ে উঠেছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শ পেলে পরিবেশ রক্ষায় আরও ভালো ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করেন বাগান মালিকরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু হোসেন জানান, ছাদবাগান দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এবং কৃষি বিভাগ থেকে ছাদবাগান মালিকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শহরের অধিকাংশ ছাদে ফুল, ফল, বনজ ও সবজির বাগান গড়ে উঠেছে। এসব বাগান থেকে ফল, সবজি পাওয়ার পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায়ও ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।