নিউজ ডেষ্ক- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার খবর শোনার পর থেকে কখনো জুতা পরেননি মোস্তফা মিয়া। ৭১ বছর বয়সী মোস্তফা মিয়া বিয়ের দিনেও খালি পায়ে বর সেজে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে জুতা পরেন না তিনি। এবার বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করতে ৩১৩ কিলোমিটার (ফুলপুর থেকে টুঙ্গিপাড়া) হেঁটে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তিনি। মোস্তফা মিয়া ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বাসিন্দা। উপজেলার সাহাপুর গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে তিনি। এলাকার সবাই তাকে ‘মোস্ত পাগল’ বা ‘বঙ্গবন্ধুর পাগল’ নামেই চেনে।
গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় বাড়ি থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন মোস্তফা মিয়া। দুপুর ১২টায় উপজেলা প্রশাসন চত্বরে এলে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল করিম রাসেল, ইউএনও শীতেষ চন্দ্র সরকার, পৌর মেয়র শশধর সেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার ববি, ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কামরুল হাসান কামু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া পারভীন লাকী, আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক হাবিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘জাতির পিতার প্রতি এমন ভালোবাসা বিরল। অনেকেই বঙ্গবন্ধুর জন্য পাগল থাকলেও তিনি তাঁর হৃদয়ে ধারণ করছেন। তরুণ প্রজন্ম তাঁর কাছে অনেক কিছু শিখতে পারবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করা হবে।’
এদিকে মোস্তফা মিয়া বলেন, ‘অনেক দিন যাবৎ এটি স্বপ্ন ছিল। গরিব মানুষ আমি। আমার তিন ছেলে। বড় দুই ছেলে মাস্টার্স ও ছোট ছেলে কলেজে পড়ছে। ছেলেরা বড় হয়েছে, আমি মরে গেলেও কোনো আপত্তি নেই। আমার ইচ্ছা, জীবনের শেষ বয়সে বঙ্গবন্ধুর কবরটা জিয়ারত করে দুই ফোঁটা চোখের পানি ফেলে তার জন্য দোয়া করব।’