নিউজ ডেষ্ক-এবার অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আবারও বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল। অপরাজিত থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করে শিরোপার লড়াইয়ে বাংলাদেশের ছেলেরা। আর ভারত চার ম্যাচে একমাত্র হার এই বাংলাদেশের কাছেই। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রথম ট্রফিতে চোখ রেখে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হচ্ছে পল স্মলিংয়ের শিষ্যরা। ম্যাচটি সরাসরি দেখা যাবে ইউটিউবে।
গত ২০১৯ সালে শেষ যুব সাফ ফুটবলের আসরে ফাইনালে ভারতের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায় বাংলাদেশ। সেই হারের শোধ এবার ঠিক তুলে নেয় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে। শ্রীলঙ্কাকে ১-০ গোলে হারানোর পর ভারতের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয়। এরপর মিরাজুলের হ্যাটট্রিকে ৪-১ গোলে মালদ্বীপকে হারায় বাংলাদেশ। গ্রুপের শেষ ম্যাচে নেপালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করলেও চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ দল হিসেবে ফাইনালে ওঠে তারা।
আর ভারত প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হারের পর টানা তিন জয় পেয়েছে, যেখানে ৮ গোলে নেপালকে গুঁড়িয়ে দেয় তারা। ফাইনালের দাবিদার হিসেবে তারা বাংলাদেশের মুখোমুখি হচ্ছে। বাংলাদেশ কি পারবে তাদের প্রথম ট্রফি ঘরে নিয়ে যেতে? নাকি ভারতের হাতেই থাকবে শিরোপা। এর নিষ্পত্তি হবে আজ সন্ধ্যায়।
প্রথমবার সাফের চ্যাম্পিয়ন হতে মুখিয়ে বাংলাদেশ। কোচ স্মলি ভারতের সবগুলো ম্যাচের চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন। এখন পরিকল্পনা অনুযায়ী মাঠে খেললেই হয়। স্মলি বলেছেন, ‘আমাদের বিপক্ষে যেমনটা তারা খেলেছিল, তার চেয়ে একেবারে ভিন্ন খেলা খেলেছে মালদ্বীপের বিপক্ষে। আমরা তাদের সবগুলো ম্যাচ পর্যালোচনা করেছি, কীভাবে তারা তাদের খেলা পাল্টে ফেলেছে সেটা নিয়ে কথা বলেছি এবং সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি কীভাবে তাদের দুর্বলতা বের করতে হবে এবং আমাদেরটা নিয়েও কাজ করেছি। আমরা দলকে শুভ কামনা জানাই।’ দুই দলেরই একজন করে খেলোয়াড়ের ওপর রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। শহীদুল ইসলামকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ, ভারতের পার্থিব গোগোই নেই।
এদিকে বাংলাদেশের কাছে হেরে সতর্ক অনূর্ধ্ব-২০ ভারতীয় দলের কোচ শানমুগাম ভেঙ্কটেশ, ‘ফাইনালে খেলা সবসময় ভিন্ন অনুভূতি, এটা বিশেষ। আমি খেলোয়াড় ও অধিনায়ক হিসেবে তিনটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছি। এছাড়া সিনিয়র জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে দুটি সাফ ফাইনালেও ছিলাম। আমি সেই অভিজ্ঞতা ছেলেদের বলেছি। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যেন আত্মতৃপ্তিতে না ভুগি। বাংলাদেশ ভালো একটি দল। তারা আমাদের প্রথম ম্যাচে সেটা দেখিয়েছে। প্রথম ম্যাচে আমাদের ভুগতে হয়েছিল, কিন্তু এখন আমরা পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পেয়েছি এবং ছেলেরা এখন অনেক আত্মবিশ্বাসী।’