নিউজ ডেষ্ক- বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নিহতের ঘটনায় জেলায় চলছে দলটির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকালে জেলার দোকানপাটগুলো বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।
বুধবার (৩ আগস্ট) বিকেলে ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমের মৃত্যুর সংবাদ জেলায় পৌঁছালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন দলের নেতা-কর্মীরা।
মিছিল শেষে কালীনাথ বাজার এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে হরতালের ঘোষণা দেন জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ট্রুম্যান।
ভোলার ঘটনা তদন্তে ও হতাহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে বুধবার (৩ আগস্ট) রাতেই বিএনপির ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকা থেকে ভোলায় রওনা হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ তদন্ত কমিটির প্রধান।
রোববার বিকেলে নুরে আলমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে যান। হাসপাতালের কার্যক্রম শেষ করে তারা অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ সেগুনবাগিচার কোয়ান্টাম মেথডে নিয়ে আসেন। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কলাবাগান থানায় হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে লাশ পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে। ময়নাতদন্তের পর রোববার সকাল ১০টায় লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে। এরপর সকাল ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নুরে আলমের জানাজা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নুরে আলমের মৃত্যুর খবর ভোলায় পৌঁছার পরপরই শহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে রয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তারা সতর্ক রয়েছেন। জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূর আলম রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বুধবার (৩ আগস্ট) বিকেলে তার মৃত্যু হয়।
রোববার (৩১ জুলাই) লোডশেডিং ও বিদ্যুৎখাতে অনিয়ম ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচিতে ভোলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় সেদিনই স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম নিহত হন। এ নিয়ে ভোলার ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু হলো।