বিঘা প্রতি গড় ফলন ৫ টন, উদ্ভাবন হলো সরিষার নতুন জাত

কৃষি ও প্রকৃতি breaking subled

নিউজ ডেষ্ক- উচ্চফলনশীল সরিষার ৫টি নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গবেষকরা। নতুন উদ্ভাবিত জাতগুলো অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগের প্রতি উচ্চমাত্রায় সহনশীল এবং প্রায় ৯৯ শতাংশ প্রতিরোধী।

জানা যায়, দীর্ঘ ৫ বছরের গবেষণায় বাউ সরিষা-৪, বাউ সরিষা-৫, বাউ সরিষা-৬, বাউ সরিষা-৭ এবং বাউ সরিষা-৮ এই ৫টি জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গবেষক অধ্যাপক ড. আরিফ হাসান খান রবিন ও তার দল। জাতগুলোর প্রতি হেক্টরে গড় ফলন ২ দশমিক ৫ টন যা দেশে প্রচলিত অন্যান্য জাতের তুলনায় ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ বেশি।

গবেষক অধ্যাপক ড. আরিফ হাসান খান রবিন বলেন, দেশে সরিষা উৎপাদনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হলো নানা রোগ ও পোকার আক্রমণ, যার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগ। এটি একটি ছত্রাকজনিত রোগ। রোগটি এককভাবে তেল-বীজের ফলন ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেয়।

তিনি আরও জানান, উদ্ভাবিত জাত ৫টি ব্রাসিকা জুনসিয়া প্রজাতির অন্তর্ভূক্ত। জাতগুলো অতিরিক্ত আদ্রতাতেও ১০০ দিনের মধ্যে দানা পরিপক্ব হতে সক্ষম। দেশে বর্তমানে প্রায় ০.৩ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়। পুষ্টিগুণ, স্বাদ ও ঝাঁঝের কারণে রসনাবিলাসের পাশাপাশি ভোজ্য তেলের চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ করছে সরিষা। সরিষার তেলবীজে জাতভেদে ৪০ থেকে ৪৫ ভাগ তেল থাকে। তাছাড়া ভোজ্য তেল আমদানিতে বাংলাদেশকে প্রতিবছর ২ হাজার ১শ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হয়। সরিষা জাতগুলো আবাদের মাধ্যমে দেশে ভোজ্যতেলের সংকট অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *