নিউজ ডেষ্ক- পাকিস্তানের রাজনীতিতে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছেন ক্ষমতা হারানো ইমরান খান। গুরুত্বপূর্ণ পাঞ্জাবের উপনির্বাচনে বাজিমাত করেছে তাঁর দল পিটিআই। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ছেলে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হামজাকে সরিয়ে আবারও সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে প্রাদেশিক পরিষদের নিয়ন্ত্রণ নিতে যাচ্ছে পিটিআই। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে আজ সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।
এমন পরিস্থিতিতে ইমরান খান আবারও সরকারকে আগাম জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটিতে ২০২৩ সালের অক্টোবরে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদে ২০ আসনের উপনির্বাচনে পিটিআই জয়ে পেয়েছে ১৫টিতে। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন পেয়েছে মাত্র চার আসন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর দখলে গেছে একটি।
৩৭১ আসনের পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে পিটিআইয়ের আসনসংখ্যা এখন ১৭৮টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ১৮৬ আসনের প্রয়োজন হলেও চিন্তা নেই ইমরানের। কারণ, মিত্রদের ১০টি আসন নিয়ে পাঞ্জাবের সংখ্যাগরিষ্ঠতা এখন পিটিআইয়ের। অন্যদিকে, পিএমএল-এনের আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৭। মিত্র পিপিপির আসন সাতটি।
আগামী শুক্রবার, ফের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ছেলে হামজাকে সরিয়ে এখন জয়ের দ্বারপ্রান্তে পিটিআই।
সাধারণভাবে এ ধরনের নির্বাচন তেমন গুরুত্ব পায় না। কিন্তু এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। পাঞ্জাবের উপনির্বাচনের ফলাফল পুরো পাকিস্তানের রাজনীতির জন্য গেইম চেঞ্জার হতে পারে। পিটিআইয়ের প্রধান ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বিদায় নেওয়ার পর দেশটিতে প্রথম কোনো নির্বাচন এটি।
দলের জয়ের পর আবারো আন্দোলন এবং নির্বাচনের দাবি তোড়জোড় শুরু করেছেন ইমরান খান। আবারো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।