আঙুলের চিকিৎসা করতে গিয়ে প্রাণ গেল স্বর্ণজয়ী প্রিয়াংকার

খেলা

হাতের একটি আঙুলের অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে রাজধানীর গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে জাতীয় দলের জুডো খেলোয়াড় ও আনসার বাহিনীর সদস্য প্রিয়াংকা আক্তারের, ১৯, মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত খেলোয়াড় ছিলেন প্রিয়াংকা। ভুল চিকিৎসা বা কর্তব্যে অবহেলার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে প্রিয়াংকার পরিবার।

প্রিয়াংকার স্বামী শরীফ হোসেন জানান, হাতের এক আঙুলের নার্ভের সমস্যাজনিত অপারেশনের জন্য বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি হন প্রিয়াঙ্কা। পরে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে চিকিৎসক জানান রোগীর অবস্থা ভালো নয়, আইসিইউতে নিতে হবে। আইসিইউতে নেয়ার কিছুক্ষণ পর ডাক্তার জানান প্রিয়াংকা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে (কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট) মারা গেছেন।

আঙুলের অপারেশন করতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে কেন মারা যাবে – সে প্রশ্ন তুলে ন্যয়বিচার দাবি করেছেন শরীফ হোসেন।

কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্র পাল বলেন, সন্ধ্যায় গ্রিন লাইফ হাসপাতালে একজন নারী ক্রীড়াবিদ মারা গেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে রোগীকে বাঁচানোর। ঘটনার পরপরই থানার ওসি-তদন্তের নেতৃত্বে একটি টিম কাজ করছে। এ বিষয়ে পরে আইনসম্মত যেসব কাজ করা লাগে তা করা হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে এ বিষয়ে গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) ডা. আবদুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।

তবে হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মো. ইকরাম হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, অপারেশনটি করেন দেশের একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক ডা. আর আর কৈরী। তিনি দেশের একাধারে জনপ্রিয় ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক। হাতের আঙুলের ছোট্ট একটি অপারেশন ছিল। এ অপারেশন করার আগে রোগীর ফিটনেসসহ যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। অপারেশনের আধাঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পরে রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়।

এদিকে, প্রিয়াংকার আকস্মিক মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনে নেমেছে শোকের ছায়া। তার সাবেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিকেএসপির সতীর্থরা সবাই শোকে মুহ্যমান। তাদের ভাষ্যমতে, প্রিয়াংকা খুবই মেধাবী ও মিশুক প্রকৃতির ছিলেন। একই সঙ্গে ভালো মানের একজন খেলোয়াড় ছিলেন। জাতীয় পর্যায়ে তার অনেক পদক রয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *