নিউজ ডেষ্ক- পাটকে সোনার আঁশ বলা হয়। খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফসল পাট। পাটগাছের ছাল থেকে পাটের আঁশ সংগ্রহ করা হয়। পাট থেকে বিভিন্ন প্রকার পাটজাত দ্রব্য উৎপাদন হয়ে থাকে। যেমন- সুতা, থলি, চট, দড়ি, সুতলি। পাট উৎপাদন মৌসুম (বপন থেকে পাট কাটা) হচ্ছে ফাল্গুনের শেষ থেকে আষাঢ়ের শেষ পর্যন্ত। আঁশ ফসলের জন্য চার ধরনের পাট রয়েছে। দেশী পাট, তোষা পাট, কেনাফ ও মেস্তা পাট।
গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাটের এমন ফলন হয়েছে বলে মনে করেন চাষিরা। চাষের শুরুতে তেমন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় চাষিরা জমিতে সেচ দিয়ে পানি দিয়েছেন। তারপর বৃষ্টিপাত হয়। তখন চাষিরা ভালো করে পাটের পরিচর্যা করেছেন। টুঙ্গিপাড়ার মাঠে ঘাটে এখন শুধু পাট দেখা যাচ্ছে। কিছুদিন পর থেকেই পাট কাটা শুরু হবে। চাষিরা পাটের ন্যায্য মূ্ল্য পাওয়ার আশা করেন।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন, এবছর উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে তোষা ও জেআরও মহারাষ্ট্র জাতের পাটের চাষ হয়েছে। এতে ৭৯ হাজার ৭৮৬ মণ পাট উৎপাদনের ধারনা করা হচ্ছে। কোন রোগ না হওয়ায় গাছ খুব বড় ও পুষ্ট হয়েছে। এতে অতিরিক্ত আঁশ পাওয়া যাবে। প্রতি হেক্টরে প্রায় ৫৫-৬০ মণ পাট উৎপাদন হবে। ফলে সকল খরচ বাদে প্রতি হেক্টরে চাষিদের প্রায় ১ লাখ টাকা করে লাভ হতে পারে। এছাড়া চাষিরা পাটকাঠি বিক্রি করেও বাড়তি আয় করতে পারবেন।
তিনি আরো বলেন, কৃষকের আয় বৃদ্ধি করার জন্য ২ ফসলের জমিকে ৩ ফসলের জমিতে রূপান্ত করেছি। পাট তোলার পর সরিষা আবার সেই জমিতেই কৃষক আমন ধানের চাষ করবেন। এতে চাষিদের বাড়তি আয় বৃদ্ধি ও চাষের প্রতি উৎসাহিত করা যাচ্ছে।
পাট ব্যবসায়ী সজল সাহা বলেন, ঈদের আগে পাটের দাম ছিলো প্রতি মণ ২ হাজার ৮০০ টাকা। এখন নতুন পাট ৩ হাজার ১০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। পাট বাজারে আসার সাথে সাথেই দাম বাড়া শুরু হয়েছে। এতে কৃষকরা পাটের ভালো আয় হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
উপজেলার পাটগাতী ইউনিয়নের কৃষক অজয় মন্ডল বলেন, এবছর ১ একর জমিতে পাটের চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। এখন বাজারে পাট ৩ হাজার টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। পাটকাঠি বিক্রি করেও কিছু আয় হবে। এখন জমিতে ৩ ফসলের আবাদ করি। এভাবে ভালো ফলন হলে আমাদের আয় আরো বাড়বে।