নিউজ ডেষ্ক- করোনা ভাইরাসের ধকল কাটিয়ে শেরপুরের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র নালিতাবাড়ী উপজেলায় স্থাপিত ‘মধুটিলা ইকোপার্ক’ এবারের শীত মৌসুমে ভ্রমণপিয়াসীদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে। সীমান্তবর্তী এই পার্কের চারপাশে উচু-নিচু পাহাড়ি টিলা, কৃত্রিম লেক আর সবুজের সমারোহ দেখতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দর্শনার্থী ও ভ্রমণপিয়াসীরা ভীড় জমাচ্ছেন।
জেলা শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার, নালিতাবাড়ী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার উত্তরে পোড়াগাঁও ইউনিয়নে ময়মনসিংহ বন বিভাগের ব্যবস্থাপনায় মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জের সমশ্চুড়া বন বিটের আওতায় ৩৮০ একর বনভূমিতে গারো পাহাড়ের মনোরম পরিবেশে সরকারিভাবে ২০০০ সালে নির্মিত হয় ‘মধুটিলা ইকোর্পাক’ তথা পিকনিক স্পট। স্থাপনকাল থেকেই শীত মৌসুমে এ পার্কে পর্যটকরা ভীড় জমান।
ইজারাদার রহমান ট্রেডার্সের প্রতিনিধি হামিদুর রহমান জানান, ইকোপার্কে ঢুকতে জনপ্রতি ১০টাকা, বড় বাস ৬০০টাকা, মিনিবাস ৪০০টাকা, মাইক্রোবাস ২০০ টাকা, মোটরসাইকেল ৩০ টাকায় টিকেট কাটার ব্যবস্থা রয়েছে।
এখানে আলাদা আলাদা ফি দিয়ে প্যাডেল বোট চালানো, পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে উঠা, শিশু পার্কে প্রবেশের সুযোগও রয়েছে। শুধু দিনের বেলায় ব্যবহারের জন্য ভ্যাটসহ ৪ হাজার ৭০২ টাকার বিনিময়ে পাহাড়ের চূড়ায় চার কক্ষ বিশিষ্ট শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) সুসজ্জিত মহুয়া নামের রেস্ট হাউজ রয়েছে। এ রেস্ট হাউজ ব্যবহার করতে চাইলে মধুটিলা রেঞ্জঅফিস, ময়মনসিংহ অথবা শেরপুর বন বিভাগ অফিসে বুকিং দিতে হয়।
মধুটিলা ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জকর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন, মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন মধুটিলা ইকোপার্কটিও বন্ধ ছিল। এখন সরকারি সিদ্ধান্তে খুলে দেওয়ায় এখানে প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা ভীড় জমাচ্ছেন। তবে আমরা দর্শনার্থীদের করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকতে মাস্ক পরিধান করতে উৎসাহিত করছি।