নিউজ ডেষ্ক- ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ সম্ভাবনাময় ভোজ্যতেল ফসল পেরিলা চাষের মৌসুম শুরু হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে মাঠপর্যায়ে স্বল্প পরিসরে পেরিলা চাষ শুরু হয় যার ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে দেশের ৪৫ টি উপোজেলায় পেরিলার চাষ হয়। বর্তমানে সারা দেশে পেরিলা চাষে আগ্রহী হচ্ছে চাষিরা।
পেরিলা বীজ তেলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড (৫৫-৬৫%) সর্বাধিক পরিমানে রয়েছে। ওমেগা-৬ উপাদানটি প্রায় ১৮% এবং ওমেগা -৯ উপাদানটি ২৩% রয়েছে। এই অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড সমূহ বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। পাশাপাশি ভোজ্যতেল পেরিলায় ইরোসিক অ্যাসিডের মাত্রা ০% হওয়ায় শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারি। হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও ঝুঁকি কমানোতে এই তেলের অসাধারণ ভূমিকা রয়েছে।
আশাকরছি গতো ২ বছরের ধারাবাহিকতায় এবং বৈশ্বিক সংকটময় পরিস্থিতির কারনে যেকোন তেল ফসলের পাশাপাশি আমাদের দেশে পেরিলার চাষ বৃদ্ধি পাবে। পেরিলা চাষ করার উপযুক্ত মৌসুম বা সময় হলো জুলাই মাসের ১০ তারিখ বা আষাঢ় মাসের ২৬ তারিখ। এই তারিখের ২ বা ৪ দিন আগেপিছে হতেই পারে বা করা যেতে পারে।
তবে কেউ যদি চায় বা যদি জমি প্রস্তুত থাকে বা খালি পরে থাকে সেক্ষেত্রে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে মানে ৪ বা ৫ তারিখের দিকেও বীজ বীজতলায় বপন করতে পারে। এক্ষেত্রে চারা মূল জমিতে রোপণের সময়ও এগিয়ে আসবে। তবে এই যে কিছুদিনের আগে বা পরে যখনই পেরিলার বীজ বপন বা চারা রোপণ করা হোকনা কেনো পেরিলার ফুল ও ফলন একই সময় হবে। সেপ্টেম্বর মাসের ২০ তারিখের পরে থেকে পেরিলা গাছে ফুল আসতে শুরু করবে এবং অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে ফসল সংগ্রহ করা যাবে। যদিও পরিবর্তনশীল পরিবেশ ও আবহাওয়ার কারনে ফসল সংগ্রহ কিছু ক্ষেত্রে কিছু সময় আগে পিছে হতে পারে।
পেরিলা চাষ করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো জমি নির্বাচন। বৃষ্টির পানি জলাবদ্ধ হয়ে থাকেনা বা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রয়েছে এমন যেকোন উঁচু জমি পেরিলা চাষের জন্য উপযোগী । এছাড়া যেকোন ফলের বাগানে (যেমনঃ আম, লিচু, মাল্টা, কুল) আন্তঃফসল হিসেবে পেরিলার চাষ করে একটি বাড়তি ফসল উৎপাদন করে আয় করা সম্ভব। পাশাপাশি পেরিলার ফুল হতে মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহ করারও দারুন একটি সুযোগ রয়েছে।
জমিতে গোবর সার পর্যাপ্ত পরিমান দিতে পারলে অন্যান্য কোন সারের প্রয়োজন নেই। পেরিলার ফলন সরিষার ফলনের মতোই তবে একটু পরিচর্যা নিয়ে করলে অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব। পেরিলার বীজ থেকে সরিষার বীজের মতোই তেল সংগ্রহ করা যায়। পেরিলা ফসল সংগ্রহ করার পর সরিষা সহো যেকোন শীতকালীন ফসল চাষ করা যায়।
বাংলাদেশে বার্ষিক ভোজ্যতেলের গড় চাহিদা প্রায় ২.২ মিলিয়ন মেট্রিক টন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব মতে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২.০-২.৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন ক্রুড সয়াবিন তৈল এবং পাম ওয়েল আমদানি করা হয়। এছাড়া সরিষা, সূর্যমুখী, রাইস বার্ন ওয়েলসহ অন্যান্য ভোজ্যতেল আমদানি করা হয় (সূত্র : দি ফাইন্যাসিয়াল এক্সপ্রেস, ৬ জানুয়ারি ২০২১)।
প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার আমদানি ব্যায় হয় এই ভোজ্য তেল এর পেছনে। অথচ আমরা চাইলেই পারি সরিষা সহ অন্যান্য তেল ফসল চাষ ও উৎপাদন করে আমাদের চাহিদা পূরণ করতে যেমনটি হয়েছিল ৯০ দশকের আগে। আমাদের একটু সচেতনতা ও সঠিক পরিকল্পনাই পারে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে স্বনির্ভর হতে। এক্ষেত্রে পেরিলা একটি দারুণ বিকল্প মাধ্যম হতে পারে।
ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ সম্ভাবনাময় ভোজ্যতেল ফসল পেরিলা চাষের মৌসুম শুরু হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে মাঠপর্যায়ে স্বল্প পরিসরে পেরিলা চাষ শুরু হয় যার ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে দেশের ৪৫ টি উপোজেলায় পেরিলার চাষ হয়। বর্তমানে সারা দেশে পেরিলা চাষে আগ্রহী হচ্ছে চাষিরা।
পেরিলা বীজ তেলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড (৫৫-৬৫%) সর্বাধিক পরিমানে রয়েছে। ওমেগা-৬ উপাদানটি প্রায় ১৮% এবং ওমেগা -৯ উপাদানটি ২৩% রয়েছে। এই অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড সমূহ বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। পাশাপাশি ভোজ্যতেল পেরিলায় ইরোসিক অ্যাসিডের মাত্রা ০% হওয়ায় শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারি। হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও ঝুঁকি কমানোতে এই তেলের অসাধারণ ভূমিকা রয়েছে।
আশাকরছি গতো ২ বছরের ধারাবাহিকতায় এবং বৈশ্বিক সংকটময় পরিস্থিতির কারনে যেকোন তেল ফসলের পাশাপাশি আমাদের দেশে পেরিলার চাষ বৃদ্ধি পাবে। পেরিলা চাষ করার উপযুক্ত মৌসুম বা সময় হলো জুলাই মাসের ১০ তারিখ বা আষাঢ় মাসের ২৬ তারিখ। এই তারিখের ২ বা ৪ দিন আগেপিছে হতেই পারে বা করা যেতে পারে।
তবে কেউ যদি চায় বা যদি জমি প্রস্তুত থাকে বা খালি পরে থাকে সেক্ষেত্রে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে মানে ৪ বা ৫ তারিখের দিকেও বীজ বীজতলায় বপন করতে পারে। এক্ষেত্রে চারা মূল জমিতে রোপণের সময়ও এগিয়ে আসবে। তবে এই যে কিছুদিনের আগে বা পরে যখনই পেরিলার বীজ বপন বা চারা রোপণ করা হোকনা কেনো পেরিলার ফুল ও ফলন একই সময় হবে। সেপ্টেম্বর মাসের ২০ তারিখের পরে থেকে পেরিলা গাছে ফুল আসতে শুরু করবে এবং অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে ফসল সংগ্রহ করা যাবে। যদিও পরিবর্তনশীল পরিবেশ ও আবহাওয়ার কারনে ফসল সংগ্রহ কিছু ক্ষেত্রে কিছু সময় আগে পিছে হতে পারে।
পেরিলা চাষ করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো জমি নির্বাচন। বৃষ্টির পানি জলাবদ্ধ হয়ে থাকেনা বা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রয়েছে এমন যেকোন উঁচু জমি পেরিলা চাষের জন্য উপযোগী । এছাড়া যেকোন ফলের বাগানে (যেমনঃ আম, লিচু, মাল্টা, কুল) আন্তঃফসল হিসেবে পেরিলার চাষ করে একটি বাড়তি ফসল উৎপাদন করে আয় করা সম্ভব। পাশাপাশি পেরিলার ফুল হতে মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহ করারও দারুন একটি সুযোগ রয়েছে।
জমিতে গোবর সার পর্যাপ্ত পরিমান দিতে পারলে অন্যান্য কোন সারের প্রয়োজন নেই। পেরিলার ফলন সরিষার ফলনের মতোই তবে একটু পরিচর্যা নিয়ে করলে অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব। পেরিলার বীজ থেকে সরিষার বীজের মতোই তেল সংগ্রহ করা যায়। পেরিলা ফসল সংগ্রহ করার পর সরিষা সহো যেকোন শীতকালীন ফসল চাষ করা যায়।
বাংলাদেশে বার্ষিক ভোজ্যতেলের গড় চাহিদা প্রায় ২.২ মিলিয়ন মেট্রিক টন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব মতে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২.০-২.৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন ক্রুড সয়াবিন তৈল এবং পাম ওয়েল আমদানি করা হয়। এছাড়া সরিষা, সূর্যমুখী, রাইস বার্ন ওয়েলসহ অন্যান্য ভোজ্যতেল আমদানি করা হয় (সূত্র : দি ফাইন্যাসিয়াল এক্সপ্রেস, ৬ জানুয়ারি ২০২১)।
প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার আমদানি ব্যায় হয় এই ভোজ্য তেল এর পেছনে। অথচ আমরা চাইলেই পারি সরিষা সহ অন্যান্য তেল ফসল চাষ ও উৎপাদন করে আমাদের চাহিদা পূরণ করতে যেমনটি হয়েছিল ৯০ দশকের আগে। আমাদের একটু সচেতনতা ও সঠিক পরিকল্পনাই পারে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে স্বনির্ভর হতে। এক্ষেত্রে পেরিলা একটি দারুণ বিকল্প মাধ্যম হতে পারে। সূত্র: এগ্রিকেয়ার২৪