নিউজ ডেষ্ক- রাজধানীর বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের পাবলিক টয়লেট বাণিজ্য চরমে। যাত্রীদের ভোগান্তি ও পকেট লুটের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। যাত্রীদের অভিযোগ, ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনে যেখানে প্রতিদিন হাজারও যাত্রী ভ্রমণ করছে, সেখানে একটি মাত্র পাবলিক টয়লেট। ভিতরে দুর্গন্ধ ও নোংরা পরিবেশ। প্রসাব-পায়খানার জন্য আলাদা আলাদা করে নেয়া হয় ১০ টাকা। এ যেন প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি। নিরব প্রশাসন।
স্টেশনে থাকা একাধিক যাত্রীর অভিযোগ, পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করলেই ১০ টাকা করে দিতে হয়। টাকা কম দিতে চাইলে যাত্রীদের নানা ভাবে হেনস্তা করা হয়। এদের কাছে যাত্রীরা জিম্মি হয়ে থাকে। টয়লেটের পরিবেশ খুবই নোংরা, ভিতরে দুর্গন্ধ। তাদের কিছু বললে বাজে ব্যবহার করে যাত্রীদের সাথে।
সরেজমিনে বিডি২৪লাইভ উপস্থিত হয় সেখানে। ১৫ জুন (বুধবার) সন্ধ্যা ৭টা। আশরাফুল নামে এক যাত্রী টয়লেট থেকে বের হয়ে টাকা দিচ্ছেন দায়িত্বে থাকা লাইনম্যান সাইফুল ইসলামকে। ৫ টাকা নিবেন না সাইফুল, দাবি ১০ টাকা। কেন এত টাকা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমাদের অনুমতি আছে যারা টয়লেট ব্যবহার করবে তাদের থেকে ১০ টাকা করে নেয়ার। এমন কথার সতত্যা খুঁজতে শুরু করে বিডি২৪লাইভ।
বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে কর্তব্যরত পুলিশ, আনসার ও রেলওয়ে দায়িত্বে থাকা কেউই প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজি হচ্ছে না। প্রায় ৩ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় বিডি২৪লাইভের সাথে কথা বলতে রাজি হয় স্টেশন মাষ্টার হালিমুজ্জামন।
টয়লেটের দায়িত্বে থাকা লাইনম্যান সাইফুল ইসলাম বলেছেন টয়লেট ব্যবহারকারী যাত্রী প্রতি ১০ টাকা করে নেয়ার অনুমতি পত্র রয়েছে। এবং সেই অনুমতি আপনারা দিয়ে থাকেন। এমন প্রশ্নের জবাবে স্টেশন মাষ্টার হালিমুজ্জামন বলেন, যারা ওখানে (পাবলিক টয়লেটে) দায়িত্ব আছে, তারা রেলওয়ে থেকে ইজারা নিয়েছে। আর সেভাবে টাকা তুলে থাকে যাত্রীদের কাছ থেকে। তবে ১০ টাকা করে নেয়াটা তাদের উচিত হচ্ছে না। আমি তাদেরকে বলবো যেন বেশি টাকা না রাখে যাত্রীদের কাছে থেকে। আমার উপরের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলবো এ বিষয়টি নিয়ে। পরবর্তীতে যেন এই ধরনের কাজ না করে, সে দিকে খেয়াল রাখবো। (চলবে…)