নিউজ ডেষ্ক- স্বামী মারা যাওয়ার পর হতেই এক বয়স্ক ভাতা উত্তোলন করে আসছিলেন। তিনমাস পর গত বৃহস্পতিবার( ২৪.২.২২) ভাতা উত্তোলন করতে এসে জানতে পারলেন সে ‘মৃত্যুবরণ’ করেছেন। তাই ভাতা বাতিল করেছে উপজেলা সমাজসেবা অধিদফতর।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় গত বৃহস্পতিবার সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় বয়স্ক ভাতা তুলতে এসে নিজেকে মৃত জানতে পেরে হতবাক হয়ে পড়েন এ বিধবা।
এ নারী উপজেলার টগরবন্ধ ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়াডের বাসিন্দা মোসা. আনোয়ারা (৭৮) (ভাতা বই নম্বর ৬১০)। তিনি জানান আমি গত তিন মাসের ভাতা নিতে এসে হয়রানির শিকার হচ্ছি। ব্যাংকে ভাতা নিতে গেলে ব্যাংকের লোকজন বলছে সমাজসেবা অফিস থেকে পাঠানো তালিকায় আপনাকে মৃত দেখানো হয়েছে। আমি জীবিত থাকার পরেও অফিসের ভুলে টাকা তুলতে পারছি না।
উপজেলা সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা গেছে,সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১হাজার ৭৮৬ জন প্রতিবন্ধী, এক হাজার ৭২৬ জন বিধবা ও চার হাজার ৬ জন বয়স্ক ভাতা সুবিধাভোগীকে তিন মাসের ভাতা প্রদান করা হয়।
প্রতিজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ৭৫০ টাকা মাসিক হারে ৩ মাসে ৪০ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা, ৫০০ টাকা হারে বয়স্কদের তিন মাসে ৬০ লাখ ৯ হাজার ও বিধবাদের মাসে ৫০০ টাকা হারে ৩ মাসে ২৫ লাখ ৮৯ করে টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
টগরবন্ধ ইউনয়িনের ৮ নং ওয়াডের ইউপি সদস্য শাহীন শেখ ভাতা বন্ধের বিষযটি নিশ্চিত করে বলেন, আমি নতুন মেম্বার,জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব। আমি সমাজ সেবা অফিসে গিয়ে ছিলাম, ওই অফিসের লোকজন আমাকে আশস্ত করছে তার ভাতা চালু করে দিবে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ বজলুর রশিদ সাথে মোবাইলে ( ০১৭৭২১২৮৮০৮) যোগাযোগ করা হলেও কলটি ধরেননি তিনি। উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন,এ বিষয় আমার জানা নেই, তবে সুবিধাভাগীর অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।9