নিউজ ডেস্ক: একদিন আগে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করেছিল। বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ওই একাদশে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তবে বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে বাংলাদেশের জয়জয়কার। ৫০ ওভারের ক্রিকেটের সেরা একাদশে সবচেয়ে বেশি তিন ক্রিকেটার বাংলাদেশের। মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে দলে রয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।
২০২১ সালে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে যারা আলো ছড়িয়েছেন, তাদের মধ্যে পজিশন বিবেচনায় নিয়ে সেরা একাদশ গঠন করেছে আইসিসি। পাকিস্তানের বাবর আজমকে অধিনায়ক করে সাজানো এই দলে সবচেয়ে বেশি তিন খেলোয়াড় বাংলাদেশের। দুজন করে আছেন পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ড থেকে।
বর্ষসেরা একাদশে ওপেনারের ভূমিকায় আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং ও দক্ষিণ আফ্রিকার জানেমান মালান। ওয়ান ডাউনে অধিনায়ক বাবর। চার নম্বরে আছেন পাকিস্তানের আরেক ব্যাটার ফখর জামান। পাঁচে দক্ষিণ আফ্রিকার রাসি ফন ডের ডুসেন। ছয় ও সাত নম্বরে বাংলাদেশের দুই ব্যাটার সাকিব ও মুশফিক। উইকেটকিপারের গ্লাভসও মুশফিকের হাতে। পেস আক্রমণে বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার দুষ্মন্থ চামিরা। আর সাকিবের সঙ্গে স্পিন আক্রমণে আছেন শ্রীলঙ্কার ভানিন্দু হাসারাঙ্গা ও আয়ারল্যান্ডের সিমি সিং।
ওয়ানডে ফরম্যাটে আরেকটি দারুণ বছর কেটেছে সাকিবের। ২০২১ সালে খেলা ৯ ওয়ানডেতে ৩৯.৫৭ গড়ে করেছেন ২৭৭ রান, যাতে ছিল দুটি হাফসেঞ্চুরি। বোলিংয়ে তো আরও দুর্দান্ত। নিয়েছেন ১৭ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজে ফিরেই করেন বাজিমাত। সিরিজসেরার পুরস্কার জিতে নতুন উদ্যোমে শুরু করেন ২২ গজের পথচলা।
মুশফিকের ওয়ানডে জার্নি তো আরও চমৎকার। ২০২১ সালে খেলা ৯ ওয়ানডেতে করেছেন ৪০৭ রান, গড় ৫৮.১৪! আছে একটি সেঞ্চুরি। রানের জন্য ক্রিজে সবসময় ব্যস্ত থাকা এই ব্যাটার খেলেছেন দেখার মতো সব শট।
পেস বোলিংয়ে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি মোস্তাফিজ। ২০২১ সালেও বাঁহাতি পেসার তার জাদু দেখিয়েছেন। ১০ ম্যাচে তার শিকার ১৮ উইকেট।
বর্ষসেরা ওয়ানডে দল: পল স্টার্লিং (আয়ারল্যান্ড), জানেমান মালান (দক্ষিণ আফ্রিকা), বাবর আজম (অধিনায়ক, পাকিস্তান), ফখর জামান (পাকিস্তান), রাসি ফন ডের ডুসেন (দক্ষিণ আফ্রিকা), সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ), মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার, বাংলাদেশ), ভানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা), মোস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ), সিমি সিং (আয়ারল্যান্ড), দুষ্মন্থ চামিরা (শ্রীলঙ্কা)।