নিউজ ডেষ্ক- সম্প্রতি সারাদেশে তুলনামুলকভাবে গ্যাসের সঙ্কট আরও বেড়েছে পাশাপাশি কমেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। আর তাই এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিএনজি স্টেশন আরও দুই ঘণ্টা বন্ধ রাখতে চায় পেট্রোবাংলা। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গতকাল মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সিএনজি স্টেশন মালিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে তারা। বর্তমানে সিএনজি স্টেশনগুলো সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকে যা গত ১ মার্চ থেকে কার্যকর হয়। এর আগে সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা গ্যাস বিক্রি করতো না স্টেশনগুলো যা গত সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছিল।আরও দুই ঘণ্টা বাড়ানো হলে মোট সাত ঘণ্টা বন্ধ থাকবে স্টেশনগুলো।
তবে বিষয়টিতে অসম্মতি জানিয়েছেন সিএনজি স্টেশন মালিকেরা। এতে ব্যাবসার অনেক ক্ষতি হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।সূত্র জানিয়েছে, সিএনজি স্টেশন মালিকরা সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে গতকালের বৈঠকে বলেছেন, বিদ্যুতের কারণে ৫-৬ ঘণ্টা গ্যাস বিক্রি বন্ধ থাকে। রেশনিংয়ের আওতায় ৫ ঘণ্টা গ্যাস বিক্রি করা হয় না। পাশাপাশি গ্যাসের স্বল্প চাপের কারণে গ্যাস নিতে সময় লাগে। এর মধ্যে রেশনিং আরও দুই ঘণ্টা বাড়ানো হলে ব্যবসা থাকবে না। জানতে চাইলে সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ফারহান নূর গনমাধ্যমে বলেন, বর্তমানে সিএনজি স্টেশনগুলো মোট সরবরাহ করা গ্যাসের মাত্র ৩ শতাংশ ব্যবহার করে সর্বোচ্চ দাম দেয়। এই অল্প গ্যাসে রেশনিং বাড়িয়ে খুব বেশি লাভ হবে না। বরং গাড়িতে তেল ব্যবহারের পরিমাণ বাড়বে যা দেশের পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর।
তবে নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে দুই ঘণ্টা বিকেলে না রাতে বাড়ানো হবে তা পর্যালোচনা করছে পেট্রোবাংলা ৷ তবে ৪টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।দেশে বর্তমান গ্যাসের চাহিদা ৪২০ কোটি ঘনফুট। পেট্রোবাংলা সরবরাহ করছে ২৬৭ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে এলএনজি থেকে আসছে ৩৮ কোটি ঘনফুট।দেশে সিএনজি স্টেশনের সংখ্যা প্রায় ৫০০। প্রতি ইউনিট গ্যাস বিক্রি করা হয় ৪৩ টাকায়।