নিউজ ডেষ্ক- নাটোর জেলার সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ঔষধি গ্রামের চাষি মো. শহিদুল ইসলাম বাণিজ্যিকভাবে উন্নত মানের চা রোজেলা চাষ করেছেন। রোজেলা ইংরেজি শব্দ হলেও স্থানীয়ভাবে চুকাই, চুকুর, মেস্তা বা টক ফল বলা ডাকা হয়।
জানা যায়, পৃথিবীর অনেক দেশেই এই উদ্ভিদের বাণিজ্যিক চাষ হয়। বাংলাদেশেও এই ফল পাওয়া যায়। দেশের সর্বত্রই এটি জন্মে। তবে এই প্রথম রোজেলার বাণিজ্যিক চাষ শুরু করেছেন মো. শহিদুল ইসলাম। রোজেলা চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান শহিদুল ইসলাম।
শহিদুল ইসলাম বলেন, গত বছর কুষ্টিয়া থেকে বীজ এনে ১ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করেছি। ১ বিঘা জমিতে ২৪০০ রোজেলার চারা রোপণ করেছি। এতে খরচ হয়েছে ৫ হাজার টাকা। একটি গাছের ফুলের পাপড়ি থেকে গড়ে ২০০ গ্রাম চা পাওয়া যায়। সে হিসাবে ২৪০০ চারা থেকে চা উৎপাদন করতে পেরেছি ৪৮০ কেজি। বর্তমানে খোলা চা ৩ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। এতে উৎপাদিত চা ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে চা প্রক্রিয়াজাত করতে ড্রায়ার মেশিন কিনেছেন। এরপর একটি বয়েল মেশিন কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। ওই মেশিন কেনা হলে কাজ অনেক সহজ হবে। পাশাপাশি বাজারজাত করতে সময় কম লাগবে।
নাটোর সদর হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, রোজেলা চা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এই চা উচ্চ রক্তচাপ, রক্তের তারল্য সংকট, হৃদরোগ, রক্তের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় সমাদৃত।
নাটোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মেহেদুল ইসলাম বলেন, চাষি শহিদুল ইসলাম পরীক্ষামূলক রোজেলা চা উৎপাদন করেছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হয়েছে। অন্যান্য কৃষক যেন এই চা চাষে আগ্রহী হন, সে বিষয়ে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।