নিউজ ডেষ্ক- পাকিস্তানের রাজনীতিতে রবিবার (৩ এপ্রিল) ছিল একটি নাটকীয় দিন। এদিন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে অসাংবিধানিক আখ্যায়িত করে সেটি নাকচ করে দেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি।
পরে ইমরানের অনুরোধে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। তবে এদিনের ঘটনাপ্রবাহে নিজেদের কিছু করার ছিল না বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
জিও নিউজের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার। এদিনের ঘটনাপ্রবাহে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, একেবারেই না। সামরিক বাহিনী এসবের সঙ্গে যুক্ত নয়।
আমাদের কিছু করার নেই। ২০২২ সালের ৮ মার্চ অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও ভুল পররাষ্ট্রনীতির অভিযোগে ইমরান খানের জোট সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার ঘোষণা দেয় পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো। এর ধারাবাহিকতায় রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাবটি পার্লামেন্টে তোলা হয়।
তবে অসাংবিধানিক আখ্যায়িত করে এটি নাকচ করে দেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি। এরপরই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ইমরান। দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, অনাস্থা প্রস্তাব বাতিলের মধ্য দিয়ে বিদেশি চক্রান্তে সরকার বদলের চেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার। পরে ইমরান খানের সুপারিশে দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ফারুখ হাবিব জানিয়েছেন, ৯০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।