প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য ‘যোগ্য’ হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন এবং ব্যক্তিগতভাবে ও ইমেইলের মাধ্যমে ৩২৯ জনের নাম পেয়েছে সার্চ কমিটি।
আজ শনিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ভবনের জাজেস লাউঞ্জে দেশের বিশিষ্টজনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সার্চ কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে ১৩৬ জনের, পেশাজীবীদের মাধ্যমে ৪০ জনের, ব্যক্তিগতভাবে ৩৪ জনের এবং ইমেইলের মাধ্যমে ৯৯ জনের নাম পাওয়া গেছে। আমাদের কমিটি বসবে, বসে কীভাবে সিলেকশন করা যায় সেটা নির্ধারণ করবেন।
তবে এটি চূড়ান্ত সংখ্যা নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এমনও হতে পারে, একজনের নাম হয়তো চার-পাঁচবারও এসেছে। সেগুলো সর্টআউট করলে প্রকৃত সংখ্যাটা পাওয়া যাবে।’ বৈঠকে সার্চ কমিটির নামের তালিকা আগেই প্রকাশ করার প্রস্তাব দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা একটা সাজেশন, কমিটি যখন বসবে তখন ওনারা কার্যপদ্ধতি ঠিক করবেন।
‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুসারে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে গত ৫ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আইন অনুযায়ী কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পেশ করতে হবে। কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রস্তাবিত নামগুলো থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে সংক্ষিপ্ত তালিকা পাঠাবে সার্চ কমিটি। সেই তালিকা থেকে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য চার কমিশনার নিয়োগ দেবেন। বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৪ ফেব্রুয়ারি।