নিউজ ডেষ্ক- কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দুই কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন গড়ের মাঠ ব্রিজের নির্মাণকাজ দুই বছরেও শেষ হয়নি। দুবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ বাতিলের চিঠি দেওয়া হলেও কোনো না কোনোভাবে ম্যানেজ করে ঢিমেতালে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জনগণ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) এক কর্মকর্তা জানান, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কুমারখালী জিসি টু গোপগ্রাম জিসি সড়কের ২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের পিসি গার্ডার ব্রিজের কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নড়াইলের মেসার্স নুর কনস্ট্রাকশন। ব্রিজের কাজ পাওয়ার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিজেরা না করে তা কুষ্টিয়া হাউজিংয়ের কিছু অদক্ষ ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দেন।
সেই থেকে বিভিন্ন অনিয়মের মধ্য দিয়ে দুই বছর ধরে নির্মাণকাজের এখন পর্যন্ত মাত্র ব্রিজের পাইল ক্যাপ ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এভাবে নির্মাণকাজ করায় তাদের বিরুদ্ধে কাজ বাতিলের জন্য দুবার চিঠি দেওয়া হলেও যে কোনো পন্থায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে তারাই আবার নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় খামার মালিক পলাশ জানান, ব্রিজের নির্মাণকাজের শুরু থেকে টিপু নামের একজন ব্যক্তি তদারকি করেন। কখনই মূল ঠিকাদারদের কাজের সাইডে দেখা যায়নি। ব্যাপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে কাজ করলেও কিছু বলতে গেলে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। এ ছাড়া ব্রিজের কাজ চলাকালীন জনগণের চলাচলের জন্য সাইড দিয়ে সাময়িকভাবে নির্মিত রাস্তায় প্রতিদিন ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার বিভিন্নজনকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রহিম জানান, পুরাতন ব্রিজটি ভাঙতে অনেক সময় লেগে গেছে। তা ছাড়া বর্তমানে যারা কাজ করছেন তারা অদক্ষ। তবে এদের কাজ পাইল ক্যাপ ঢালাই পর্যন্ত। যেহেতু পাইল ক্যাপ ঢালাই হয়ে গেছে এখন থার্ড পার্টি কাজ করবেন। তিনটি গার্ডার নির্মাণের পর স্লাব ঢালাই দিতে সময় লাগবে না। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে ব্রিজের কাজ সমাপ্ত হবে বলেও জানান তিনি।