নিউজ ডেস্ক: ২০৭০ সালের মধ্যে নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত। সোমবার স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় ২৬তম জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে (কপ২৬) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার দেশের এই পরিকল্পনার কথা জানান।
জলবায়ুর বিপর্যয়কর প্রভাব এড়াতে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর বিশ্বের অন্যতম কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণকারী দেশ হচ্ছে ভারত। ২০৭০ সালের মধ্যে নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গ্লাসগো সম্মেলনে প্রথমবারের মতো এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা বলতে বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাস আর যুক্ত না করা। চীন ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ২০৫০ সালের মধ্যেই ওই লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউয়ের পর বায়ুমণ্ডলে সবচেয়ে বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস নিঃসরণকারী দেশ ভারত।
সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাঁচটি প্রতিশ্রুতি হচ্ছে-
১. ২০৩০ সালের মধ্যে অ-জীবাশ্ম শক্তির উৎপাদন বাড়িয়ে ৫০০ গিগাওয়াট করবে ভারত।
২. ওই একই সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে শক্তির চাহিদার ৫০ শতাংশই পূরণ করা হবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির মাধ্যমে।
৩. চলতি বছর থেকে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত যে পরিমাণ কার্বন দূষণ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে, তার থেকে ১০০ কোটি টন কম কার্বন নিঃসরণ করবে।
৪. ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৪৫ শতাংশ কম করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ভারত।
৫. সর্বশেষে, ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন দূষণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করবে ভারত।