সাদা পোশাকের ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের মালিক তামিম ইকবাল। এবার তামিমকে ছুঁয়ে ফেলার সুযোগ পেয়েছিলেন আরেক টাইগার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। কিন্তু ১ রানের জন্য তা আর হলো না।
কারণ চোটের কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজে মাঠে নেই তামিম ইকবাল। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে দুর্দান্ত ব্যাট করে তামিমকে পেছনে ফেলার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন মুশি।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা আর হলো না। নার্ভাস নাইনটিতে আউট হয়ে তামিমকে টপকানো হলো না মিষ্টার ডিফেন্ডেবলের। তাও কিনা মাত্র ১ রানের জন্য। ৬৪ টেস্টে ১২৩ ইনিংস খেলে তামিম ইকবালের রান সংখ্যা ৪৭৮৮। অন্যদিকে তামিম থেকে ৯২ রান কম নিয়ে মুশফিক নেমেছিলেন চট্টগ্রাম টেস্টে।
কিন্তু প্রথম দিনের ৮২ রান নিয়ে শুরু করা মুশফিক এদিন থামলেন ৯১ রানে। হাসান আলির জায়গায় আক্রমণে এসে মুশফিককে কট বিহাইন্ড করে সাজঘরের পথ ধরিয়ে দেন ফাহিম আশরাফ। আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি মুশির। আম্পায়ার আউট দেওয়ায় মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
স্রেফ ১ রানের জন্য টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে তামিমের পাশে বসতে পারলেন না দেশসেরা এই ব্যাটসম্যান।২২৫ বল খেলে ১১ চারে ৯১ রান করে আউট হন মুশফিক। তবে অঘটন না ঘটলে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই তামিমকে ছাড়িয়ে যাবেন তিনি।
এর আগে প্রথম দিনের ৪ উইকেটে ২৫৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের ব্যাটিং শুরু করে লিটন-মুশি। তবে দিনের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি এই দুই ব্যাটসম্যানের। দলীয় ২৫৫ রানে হাসান আলীর বলে বিদায় নেন লিটন। ১১৪ রানে থামেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। লিটনের পর বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি মুশফিকও। ৯১ রানে আউট হন মুশি।
তবে অভিষেকটা রাঙিয়ে তুলতে পারেননি ইয়াসির আলি রাব্বি। মাত্র ৪ রান করেই সাজঘরের পথ ধরেন চট্রগ্রামের এই ক্রিকেটার। মেহেদীর অপরাজিত ৩৮ রানে ভর করে ৩৩০ রানেই থামেই স্বাগতিকদের ইনিংস। বল হাতে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেন হাসান আলী।