নিউজ ডেষ্ক- বিএনপি ১৯৯১ সালের মতো নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় বলে জানিয়েছেন নেতারা। সেই সঙ্গে দেশে যে সংকট চলছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তারা।
আজ রোববার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ‘২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯১ নির্বাচন : নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রোল মডেল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় দলটির সিনিয়র নেতারা এসব কথা বলেন।
জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবদুস সালামের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, আহমেদ আজম খান, শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, শ্রমিকদলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, তাঁতীদলের আবুল কালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, ছাত্রদলের ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।
সভায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে নির্বাচন ব্যবস্থা। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই জনগণের প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রের মালিক হচ্ছে জনগণ। দেশে যে সংকট চলছে এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সংগ্রাম-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে বাধ্য করতে হবে পদত্যাগ করতে। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালের মতো নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন করে সত্যিকার অর্থেই জনগণের প্রতিনিধিশীল একটা পার্লামেন্ট এবং সরকার গঠন করতে হবে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ৯০-এ স্বৈরশাসকের পতনের পরে দেশে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার হয়েছিল। তখন সংবিধানে এই বিধান ছিল না। কিন্তু জাতির স্বার্থে সেইদিন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার হয়েছিল। জাতীয় প্রয়োজনে সংবিধানে কী আছে বা নাই সেটা বড় কথা নয়। সেই সরকারের অধীনে একটি অংশগ্রহণমূলক আন্তর্জাতিক স্বীকৃত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘অখ্যাত-কুখ্যাত’ লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমরা সেই ব্যাপার আগ্রহী নই। আমরা আগ্রহী নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে। নিরপেক্ষ সরকার না হলে এ দেশে কোনোদিন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
আমির খসরু বলেন, আগামী দিনে দেশে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।