নিউজ ডেষ্ক– চট্টগ্রামে ১৬ হাজার মানুষের সঙ্গে প্রতারণার গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। সরকারের করোনা অনুদান পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে রিকশাচালক, গৃহকর্মী ও প্রতিবন্ধীসহ ১৬ হাজার অসহায় মানুষের ৩২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। আর এ ঘটনায় কথিত ওই এনজিও কর্মকতাকে আটক করেছে চট্টগ্রাম পুলিশ।
জানা যায়, আটককৃত ওই নারীর নাম জান্নাতুল ফেরদৌস। গতকাল (সোমবার) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের হামজারবাগের বাসা থেকে তাকে আটক করতে সক্ষম হয় পাঁচলাইশ থানার পুলিশ। এর আগে প্রতারিত হওয়া কয়েকশ মানুষ ওই নারীর বাড়ি ঘেরাও করেন। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
আটকের পর থানার সামনেও ভিড় করে কয়েকশ নারী পুরুষ। তাদের সবার দাবি হচ্ছে, পুলিশের হাতে আটক কথিত এনজিও কর্মকর্তাকে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। জনগণ নিজেই তার প্রতারণার বিচার করতে চায়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, “সরকারের কাছ থেকে করোনা অনুদান পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে কয়েক হাজার মানুষের কাছে অর্থ নিয়েছেন ওই নারী। এখন উত্তেজিত জনতা তার প্রতারণার বিচার চাইছেন। আমরা তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।”
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সরকারের কাছ থেকে মাথাপিছু পাঁচ হাজার টাকা করে এনে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল জান্নাতুল ফেরদৌস। নাম নিবন্ধনের কথা বলে বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে প্রতিজনের থেকে আয় করেন ২০০ টাকা করে। কিন্তু চার মাস পেরিয়ে গেলেও কেউই পায়নি অনুদানের টাকা।
ভুক্তভোগীরা দাবি করে বলেন, অনুদান দেওয়ার কথা বলে নাম নিবন্ধনের জন্য বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে প্রায় ১৬ হাজার মানুষের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নিয়েছেন ওই নারী। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও অনুদান পাননি কেউই।
অভিযুক্ত এনজিও কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘আমরা তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি অনুদান দেওয়ার জন্য। অনুদান পেতে কিছুটা দেরি হওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’