নিউজ ডেষ্ক- ম্যাচের পুরোটা সময় জুড়েই চললো বৃষ্টির খেলা। তাতে স্বাভাবিক ছন্দ ব্যহত হলেও সেভিয়ার মাঠে ঠীকই দাপট দেখিয়েছে বার্সেলোনা। ম্যাচের অনেকটা সময় প্রতিপক্ষকে ১০ জনের দল হিসেবে পেলো। তবু জয়ের মুখ দেখলো না জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা।
মঙ্গলবার রাতে সেভিয়ার রামন সানচেস স্টেডিয়ামে লা লিগার ম্যাচটি শেষ হয়েছে ১-১ গোলে। বার্সার হতাশার ম্যাচে এদিন বিপক্ষে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল গোলপোস্টও।
ম্যাচে ৫৯ শতাংশ সময় বল নিজেদের দখলে রেখেছিল বার্সেলোনা। গোলের জন্য তারা ২৩টি শট নেয়, যার মধ্যে মাত্র সাতটি ছিল লক্ষ্যে। আর স্বাগতিকদের পাঁচ শটের একটি লক্ষ্যে ছিল, আর সেটিতেই গোলের দেখা পায় তারা।
ম্যাচের শুরু থেকেই সেভিয়ার দুর্গে বেশ কয়েকটি আক্রমণ করে বার্সা। তবে ২২তম মিনিটে উল্টো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলো সেভিয়া। রাফা মির বার্সেলোনার জালে বলে পাঠালেও অফসাইডের ফাঁদে পড়ে সেটি বাতিল হয়ে যায়।
তবে ৩২ মিনিটের মাথায় সেই আক্ষেপ ঘুচে যায় স্বাগতিকদের। বার্সেলোনারই সাবেক মিডফিল্ডার ইভান রাকিতিচের কর্নারে ছুটে গিয়ে ডান পায়ের নিচু শটে দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে জালে বল জড়ান পাপো গোমেজ।
যদিও বার্সা সমতায় ফিরতে খুব একটা সময় নেয়নি। বিরতির আগেই গোল দিয়ে ম্যাচে ফিরে দলটি। ম্যাচের ৪৫ মিনিটে উসমান ডেম্বেলের কর্নারে ডি-বক্সে অনেকটা লাফিয়ে হেডে গোল করে ম্যাচে ফিরেন উরুগুয়ের ডিফেন্ডার রোনালদ আরোজো।
দ্বিতীয়ার্ধের কিছু সময় পার হতেই বড় ধাক্কা খায় সেভিয়া। ৬৪ মিনিটের মাথায় টাচলাইনের বাইরে মেজাজ হারিয়ে আলবার মুখে হাত দিয়ে বল মেরে দেন জুল কুন্দে। আর তাতেত লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় এই ফুটবলারকে।
১০ জনের সেভিয়াকে এরপর ভালোভাবেই চেপে ধরে বার্সা। আক্রমণে ধার বাড়িয়ে গোল আদায়ের চেষ্টা করে সফরকারীরা। ৮৪তম মিনিটে এসেছিল দারুণ এক সুযোগও। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় গোলপোস্ট। ডেম্বেলের বাঁ পায়ের শট সরাসরি লাগে পোস্টে গিয়ে। শেষপর্যন্ত ১-১ ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল।