নিউজ ডেষ্ক– হিজাব পরে ঢুকতে না দেওয়ায় কর্ণাটকে পরীক্ষার হলে বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন দুই স্কুলশিক্ষার্থী। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজ্যটির উড়ুপি ও শিবামোগা জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এনডিটিভি জানিয়েছে, পরীক্ষার হলে বসতে না পারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উড়ুপির একটি সরকারি স্কুলের এক শিক্ষার্থী রয়েছেন। তার অভিভাবক অভিযোগ করেছেন, হিজাব খুলতে না চাওয়ায় মেয়েটির বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ষষ্ঠ শ্রেণির সেই ছাত্রীর ওই অভিভাবক বলেন, এটি (হিজাব নিষিদ্ধ) আগে কখনো ছিল না। আমাদের সন্তানদের আলাদা কক্ষে বসতে বাধ্য করা হয়েছে। গতকাল শিক্ষকরা শিশুদের ধমকাধমকি করেছেন… তারা এটা আগে করেননি। স্কুল বলেছে, যারা হিজাব পরা তাই বাইরে বসো, যারা পরেনি তারা ক্লাসে থাকো।
অবশ্য স্থানীয় এক জেলা কর্মকর্তা দাবি করেছেন, হিজাবের কারণে স্কুলটিতে কোনো শিক্ষার্থীকে আলাদা বসানো হয়নি। ওই অভিভাবক বলেন, আমাদের সন্তানেরা হিজাব পরতে চায়, পড়াশোনাও করতে চায়। হিন্দু শিক্ষার্থীরা সিঁদুর পরে… খ্রিস্টানরা জপমালা পরে, তাহলে আমাদের মেয়েরা হিজাব পরলে দোষ কী? ওই একই স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়া এক ছাত্রীর অভিভাবক বলেছেন, তাদের মেয়ে তিন বছর ধরে হিজাব পরছে, এ নিয়ে আগে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। ওই অভিভাবক বলেন, আমার মেয়ে ক্লাসে হিজাব পরেছিল। তাকে এটি খুলে প্রতিদিনের প্রার্থনায় অংশ নিতে বলা হয়। পরে পুলিশি হুমকি দিয়ে তাকে হিজাব খুলতে বাধ্য করা হয়েছে।
পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া হিনা নামের আরেক শিক্ষার্থী এএনআই’কে বলেন, আমি হিজাব খুলবো না। আগে হিজাব পরেই স্কুলে বসতাম। স্কুল প্রশাসন আমাদের হয় হিজাব খুলে ফেলতে নাহয় জায়গা ছেড়ে দিতে বলেছে। তারা আমাদের হিজাব পরে পরীক্ষায় বসতে দেয়নি।
কয়েকজন অভিভাবক বার্তা সংস্থাটিকে বলেছেন, হিজাব ইস্যুতে কর্ণাটক হাইকোর্টের রায় না আসা পর্যন্ত তারা সন্তানদের আর স্কুলে পাঠাবেন না।