নিউজ ডেষ্ক- চৌধুরী অভিনীত ‘হাওয়া’ সিনেমাটি মুক্তির পূর্বেই এরইমধ্যে সারা দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে নানান কারণে। নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমনের প্রথম সিনেমা এটি । মুক্তি পেয়েছে গত ২৯ জুলাই। দেশের ২৪টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর বেশিরভাগ হলে টানা হাউজফুল চলছে সিনেমাটি। অগ্রিম টিকিট বিক্রিতেই গড়েছিল রেকর্ড। দর্শকের চাপে এখনো অধিকাংশ হলে টিকিট সংকট চলছে। কিন্তু ছবি মুক্তির পরেই অনেকেই তুলেছেন নকলের অভিযোগ।
অনেকেই মনে করছেন, কোরীয় ছবি ‘সি ফগ’র সাথে ‘হাওয়া’র মিল আছে। ২০১৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল কোরিয়ান ভাষার ছবি ‘সি ফগ’। নির্মাণ করেছিলেন সাং বু শিম। ছবির কাহিনীতে দেখানো হয়, চীন থেকে কোরিয়াতে অবৈধ মানবপাচারের জন্য ভাড়া করা হয় মাছ ধরার নৌকা। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়াসহ নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে সেই নৌকা। তবে ‘সি ফগ’ নকল করে ‘হাওয়া’ নির্মাণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেজবাউর রহমান সুমন। ‘হাওয়া’র নির্মাতা বলেন, যারা এই দাবি তুলেছেন মনে হয় তারা আমার সিনেমাটি দেখেননি। তাদের বলব, আপনারা আগে আমার সিনেমাটি দেখে, মিলিয়ে তারপর এরকম দাবি তুলুন। আমি আগে থেকেই জোর গলায় বলে আসছি এটা এ অঞ্চলের গল্প। এখনও বলব এটা আমাদের ছবি। যারা নকল বলছেন তাদের প্রতি আমার আহ্বান, তারা দুটি সিনেমা পাশাপাশি রেখে দেখুক।
তিনি আরো বলেন, ছবি দুটির শুটিং সাগরে হয়েছে বলে অনেকে হয়ত এরকম ভাবছেন। তাদের ধারণা ভুল। সাগরে দৃশ্যধারণ করা হলেই তো আর সিনেমা এক হয় না। পৃথিবীতে সমুদ্রের গল্পে নির্মিত অসংখ্য চলচ্চিত্র আছে। আর যে সিনেমাটির কথা বলা হচ্ছে সেটা মানব পাচারের গল্পে নির্মিত হয়েছে। আমার সিনেমার সঙ্গে ওই ছবিটির কোনো মিল নেই। এটা খুবই হাস্যকর।
প্রসঙ্গত, তারকাবহুল এ সিনেমায় আরো অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুশি, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, নাসির উদ্দিন খান, সোহেল মণ্ডল, রিজভী রিজু, মাহমুদ হাসান এবং বাবলু বোস। চিত্রগ্রহণ করেছেন কামরুল হাসান খসরু, সম্পাদনা সজল অলক, আবহ সংগীত রাশিদ শরীফ শোয়েব এবং গানের সংগীতায়োজন করেছেন ইমন চৌধুরী।