নিউজ ডেষ্ক- নিরুদ্দেশ হয়ে গেলেন কানাডা ও আরব-আমিরাতে ঠাঁই না পেয়ে ঢাকায় ফেরা সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদ ডা. মুরাদ হাসান। গত রবিবার রাত থেকেই তার কোর খবর পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি নিজের ফোনটিও বন্ধ রেখেছেন মুরাদ।
জানা যায়, নিজের পরিবার থেকে তাকে বলা হয় যে কোনোভাবে হোক আপাতত বিদেশেই থাকার জন্য। কিন্তু কানাডায় প্রবেশের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তিনি পরিবারকে জানানোর পর তাকে পরামর্শ দেয়া হয় অন্তত দুবাই থেকে যান। দুবাই নেমে তিনি ঢাকায় প্রভাবশালী দুজন ব্যক্তির কাছে ফোন করে তাকে যেভাবে হোক আমিরাতের ভিসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ জানান। তবে আমিরাতের ভিসাও কপালে জুটলো না তার। তখন তাকে চরম অস্থিরতা ও উদ্বিগ্ন হয়ে দুবাই এয়ারপোর্টের তিন নাম্বার টার্মিনালে হাঁটতে দেখা গেছে। সেখানেও বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি তাকে দেখে চিনে ফেলায় তিনি কটূক্তিরও শিকার হন বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, “রবিবার হজরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে মুরাদ হাসান অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল দিয়ে চলে যান অপরিচিত একজন চালকের গাড়িতে করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল তিনি তার ধানমন্ডির নিজের বাসায় যাবেন। ওই বাসা তিনি নিজের হাতে কদিন আগেই সাজিয়েছিলেন। পরবর্তীতে জানা যায় তিনি সেখানে যাননি। যদিও পরে জানা যায় তিনি তার এক ভাইয়ের বাসায় উত্তরায় আছেন। সোমবারও সেখানে খোঁজ নেয়া হয়েছে কিন্তু সেখানেও তাকে পাওয়া যায়নি। আমাদের ধারণা তিনি আত্মগোপনেই থাকার সিদ্বান্ত নিয়েছেন।”
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান ডা. মুরাদ হাসান। একই সঙ্গে জামালপুরের স্থানীয় আওয়ামী লীগের পদও হারান তিনি।
এর পর গত বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এমিরেটসের ফ্লাইটে দুবাই হয়ে কানাডার উদ্দেশে রওনা দেন দেশ ছাড়েন মুরাদ। তবে তাকে কানাডায় প্রবেশ করতে দেয়নি দেশটির সরকার। কানাডা প্রবেশ করতে না দেওয়ায় মুরাদ হাসান শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) পথে রওনা দেন। কিন্তু আগে থেকে ভিসা না নেওয়ায় তাকে দুবাইয়ে ঢুকতে দেয়নি দেশটির বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে দেশেই ফিরে আসেন তিনি।