নিউজ ডেষ্ক- ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও ব্যাপক কাঁঠাল ধরেছে। প্রতি বছর গাছ ভর্তি কাঁঠাল হলেও ভাল দাম না পেয়ে হতাশ মালিকরা। ন্যায্য দাম না পাওয়ায় গাছেই পচছে কাঁঠাল। এছাড়া গবাদি পশুর খাবার হিসেবে ব্যবহার করছে।
জানা যায়, দফায় দফায় শিলাবৃষ্টি-কালবৈশাখী ঝড়ে আম ও লিচুসহ অন্যান্য মৌসুমি ফলের ওপর আঘাত হানলেও কাঁঠালের কোন ক্ষতি হয়নি। গাছের ডালে ডালে ঝুলে থাকতে দেখা গেছে কাঁঠাল। কিন্তু পাইকাররা প্রতি পিস কাঁঠালের দাম বলে ৫-১০ টাকা। তাই চাষিরা কম দামে বিক্রি করছে না কাঁঠাল।
জেলার হরিপুর উপজেলায় কাঠালডাঙ্গী গ্রামের ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের বাড়িতে ১০ টি কাঠাল গাছ রয়েছে। প্রতিবছরের মত এই বছরও কাঁঠাল ভালো আসলেও পাইকাররা ভালো দাম দিচ্ছে না। পিস প্রতি ৫-১০ টাকা করে বলে। তাই কাঁঠাল বিক্রির থেকে গবাদি পশুকে খাওয়ানো উত্তম মনে করি।
সদর উপজেলা মথুরাপুর এলাকার গৃহিনী আনসুরা বেগম বলেন, বাড়ির আশপাশে যেসব জমিতে কাঁঠাল গাছ রয়েছে, তা থেকে সারাবছর ছাগলকে পাতা খাওয়ানো হয়। এজন্য গাছগুলো রাখা হয়েছে। কাঁঠাল বিক্রির আশা করি না। কাঁঠাল ছাগল-গরুর খাবার হিসেবে ব্যবহার করি। আর কাঁঠালের বিচি সংগ্রহ করে কয়েকমাস তরকারি হিসেবে খাওয়ার জন্য রাখি।
জেলার কাঁঠালের পাইকারি ব্যবসায়ী পয়গাম আলী বলেন, গতবারের তুলনায় এ বছর কাঁঠালের আরও বাম্পার ফলন হয়েছে। এখনো কাঁঠাল কেনা তেমন শুরু হয়নি। তবে দু’একজন গাছ বা বাগান কিনে রাখছেন। ২০-২৫ দিনের মধ্যে কাঁঠাল কিনবে ব্যবসায়ীরা।
ঠাকুরগাঁও জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, জেলার অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত করতে কাঁঠালে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। কাঁঠাল সংরক্ষণের জন্য এই অঞ্চলে কোন প্রতিষ্ঠান হলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ অনেক গাছ মালিক অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। কাঁঠালের ন্যায্য দাম পাবে গাছ মালিকেরা৷ বাণিজ্যিকভাবে চাষ হবে কাঁঠালের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের গাছ রয়েছে। তবে এর বেশিও হতে পারে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা।