নিউজ ডেষ্ক- মহান বিজয় দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে এসে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। আর এ সময় অন্তত ২০ জনের মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা এবং সংবাদকর্মীদের মোবাইলও রয়েছে।
এ ঘটনায় জাতীয় স্মৃতিসৌধের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিয়ে উপস্থিত মানুষেরা উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, বিজয় দিবসে লাখ লাখ মানুষ একই সাথে আসায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
আজ (বুধবার) ভোরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পরই জাতীয় স্মৃতিসৌধ সাধারন মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এরপরই একই সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, পেশাজীবী, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের ঢল নামে।
মূলত সকাল পৌনে ১০টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্মৃতিসৌধে আগমনের সময় বিশৃঙ্খলার তৈরী হয়। এসময় উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে হট্টগোল ও মারামারি বেধে যায়। এ সময় মোবাইল চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে মিলে মারধর করতেও দেখা যায়।
আর এই হট্টগোলের সময় মোবাইল ফোন চুরি হয় একটি বেসরকারি টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মোজাফফর হোসাইন জয় এবং রাশেদ বাপ্পীর। এরপরই চুরি হয় একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রতিনিধি আলকামা আজাদের ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন।
এই তিনজনের ফোন চুরি হওয়ার ঘটনার কিছুক্ষণ পরই জানা যায় গণপূর্ত বিভাগ মিরপুর শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী আজহারুল ইসলাম নামে এক সরকারি কর্মকর্তার মোবাইল ফোনও চুরি হয়ে গেছে।
এ ছাড়া সাধারণ মানুষদের অনেকেই তাদের মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিস হারিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এ ঘটনায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সাংবাদিক মোজাফফর হোসাইন জয় বলেন, তিনি মহান বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা নিবেদনের অনুষ্ঠান কাভারেজ করতে এসে হঠাৎ হট্টগোলের মাঝে পড়ে যান। এরপরই পকেট থেকে তার মোবাইল ফোন এবং ৩ হাজার টাকা খোয়ার ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক নাজমুল হুদা বলেন, মোবাইলসহ নানা মূল্যবান জিনিসপত্র হারানোর অন্তত ২০টি অভিযোগ দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্তরা।