নিউজ ডেষ্ক- আষাঢ়, শ্রাবন ও ভাদ্র এই তিন মাস পেয়ারার মৌসুম। তবে শ্রাবন মাস জুড়ে পেয়ারার ভরা মৌসুম থাকে। আষাঢ় মাস শেষ হতে চলল এখনো মিষ্টি এ পেয়ারা বাজারে তেমন দেখা যাচ্ছেনা। বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে বৃষ্টি কম হওয়ায় স্বরূপকাঠির উৎপাদিত রসালো পেয়ারা আসতে দেড়ি হচ্ছে।
উপজেলার আটঘর,আদমকাঠি, ধলহার, কুড়িয়ানা, আদাবাড়ি, জামুয়া সহ প্রায় ২৫ গ্রামের ৬০৭ হেক্টর জমিতে পেয়ারার চাষাবাদ হয়। এবার পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় পেয়ারা আরো দ্রুত সরবরাহ হবে বলে মনে করেন চাষিরা।
প্রায় ৬০-৭০ বছর যাবত এ অঞ্চলে বানিজ্যিকভাবে পেয়ারা চাষ হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম মিলে প্রায় ২০১০ টি পেয়ারা বাগান রয়েছে এবং ১ হাজার ২৪০ জন চাষি রয়েছেন। পেয়ারা চাষ করে শ্রমজীবি মানুষসহ ৬-৭ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। এলাকার খালে বসে ভাসমান পেয়ারার হাট। প্রতিদিন শত শত পেয়ারা চাষি তাদের উৎপাদিত পেয়ারা নিয়ে আসেন বিক্রি করার জন্য। ভাসমান এই পেয়ারার হাটে দূর দূরান্ত থেকে পাইকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এসে ট্রাকে ও বড় বড় নৌকায় করে পেয়ারা কিনে নিয়ে যায়।
পদ্মা সেতু চালু হওয়াতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর পাইকার ও পর্যটকদের আগমন বেশি হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ফলে পেয়ারার পাশাপাশি অন্যন্য কৃষি পণ্যেরও বিক্রি বাড়বে। সকল পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবেন বলে আশা রাখেন চাষিরা। পর্যটকদের জন্যেও এই ভাসমান পেয়ারার বাজার খুব জনপ্রিয় স্থান।
ব্রাহ্মণকাঠির পেয়ারা চাষি বিশ্বজিত চৌধুরী বলেন, বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এখনো ফল পরিপক্ব হয়নি। এবছর কোনো বাগানে পেয়ারা বেশি আর কোনো বাগানে কম পেয়ারা আসছে। মৌসুমের শুরুতে পেয়ারার দাম ভালো পাওয়া যায়। ফলন বিলম্ব হওয়ায় আর্ধিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চাষিরা। তবে শ্রাবন মাসের প্রথম সপ্তহেই পেয়ারা হাটে উঠবে বলে আশা করছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চপল কৃষ্ণ নাথ বলেন, এখন পেয়ারা বিক্রির সময়। ফলন দেড়িতে হওয়ায় পেয়ারা এখনো পরিপক্ব হয়নি। পেয়ারা বাজারে তুলতে আরো সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। পেয়ারা বাজারে তোলা ও বিক্রয়ে কৃষি বিভাগ চাষিদের সব ধরনের সহযোগীতা করবে বলে তিনি জানান।