নিউজ ডেষ্ক- সৌদি খেজুর চাষের সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচন করেছেন বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কড়িরহাট এলাকার আমড়া গোহাইল গ্রামের মো. আবু হানিফা। হজ করে ফিরে আসার সময় আজোয়া খেজুর নিয়ে আসেন তিনি। তারপর বীজ থেকে চারা তৈরি করে বাগান গড়ে তুলেন। বর্তমানে তার বাগানের সব গাছ গুলোতে ফল এসেছে।
জানা যায়, ২০১৮ সালে হজে গিয়ে আসার সময় আজোয়া খেজুর নিয়ে আসেন। খেজুরের বিচি থেকে ১৬ চারা তৈরি করে ৯ শতক জমিতে লাগান। সেখান থেকে টেকে ১৩টি গাছ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে একটি গাছে প্রথম ফলন আসে। তারপর গত ৩ মাসে সব গাছে ধরে থোকায় থোকায় খেজুর।
সফল উদ্যোক্তা আবু হানিফা বলেন, ২০১৮ সালে হজ করে সৌদি থেকে আসার সময় আজোয়া খেজুর এনে বীজগুলো সংরক্ষণ করে টবে চারা তৈরি করে। তারপর ৯ শতক জমিতে খেজুরের বাগান করি। বর্তমানে আমার বাগনে সকল খেজুর গছে ফলন এসেছে। তাছাড়া খেজুরের বাগানের পাশাপাশি মাল্টা, আপেল কুল, বারোমাসি আম, বারি ফোর, কিউজাই, মিষ্টি তেঁতুল, কামরাঙ্গা, আলুবোখারা গাছও লাগিয়েছি। পরিচর্যার পর প্রায় প্রতিটি গাছে ফল দিতে শুরু করেছে।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রিকালচারাল বোটানি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেজওয়ানা নিজাম বলেন, বাংলাদেশের আবহাওয়া এখন আগের চেয়ে অনেক উষ্ণ হয়ে উঠেছে। অর্থাৎ গ্রীষ্মের ভাব বেশি সময় ধরে থাকে। যে কারণে সৌদি আরবের আবহাওয়াসহিষ্ণু ফল এখান বাংলাদেশে সহজে চাষ করা সম্ভব হচ্ছে। এ ছাড়া দেশের মাটিতে এখন আগের চেয়ে লবণাক্ততার পরিমাণও অনেক বেড়েছে। যে কারণে এ ফলন ভালো হচ্ছে।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হর্টিকালচার সেন্টার বনানীর উপপরিচালক মো. আব্দুর রহিম বলেন, সৌদি খেজুর মরুভূমির ফসল। এই ফসল চাষের জন্য বিশেষ যত্ন নিতে হয়। আর এই চাষের জন্য টিস্যু কালচার পদ্ধতি জরুরি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এই পদ্ধতির মাধ্যমে গাছগুলোর বেশির ভাগ স্ত্রী গাছ হবে। চাষিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। যদিও এটা অনেক ব্যয়বহুল ও সব জায়গায় এই ব্যবস্থা নেই। তবে বগুড়ার হর্টিকালচার সেন্টারে টিস্যুকালচার পদ্ধতি চালু করার প্রায় সব ব্যবস্থা হয়ে গেছে।