নিউজ ডেষ্ক- খাগড়াছড়ির পাহাড়ে পাহাড়ে চাষ হচ্ছে সুস্বাদু ফল মাল্টা। উচ্চ ফলনশীল বারি মাল্টা-১ চাষে স্বচ্ছলতা ফিরেছে চাষিদের। অনুকূল আবহাওয়া ও মাটি উর্বর হওয়ায় পাহাড়ে দিন দিন বাড়ছে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ।
মাল্টা চষের সম্ভাবনা খুব ভালো থাকায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। এছাড়া ফরমালিনমুক্ত হালকা টক-মিষ্টি এ ফলের দামও কম। তাই বাজারে চাহিদা আশানুরুপ। বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা বাগান করে ভাগ্য পাল্টাতে শুরু করেছে পাহাড়ের অনেক পরিবারের।
সঠিক নির্দেশনা মেনে পরিচর্যা করলে ফলনও ভাল হয়। সেপ্টেম্বরের শেষ সময় থেকে মধ্য নভেম্বর পর্যন্ত পাহাড়ে উৎপাদিত এ মাল্টা বাজারে পাওয়া যাবে। দেখতে সবুজ হলেও বাজারে মিলছে পরিপক্ক মাল্টা। বাইরের মাল্টার চেয়ে দামে কম ও সুমিষ্ট এবং ফরমালিনমুক্ত হওয়ায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এ ফলের চাহিদাও ভাল।লেবু জাতীয় ফল থেকে এ বারী মাল্টা উদ্ভাবন করা হয়েছে। জেলার প্রায় ২ শতাধিক বাগানে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ হচ্ছে।
যে পদ্ধতিতে বারি মাল্টা-১ চাষে অধিক লাভবান হবেন
পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুন্সি আব্দুর রশিদ বলেন, ২০০৮ সালে এটাকে উন্মুক্ত করার পরে এখন পর্যন্ত খাগড়াছড়িতেই ২০০ মাল্টা বাগান হয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভাল হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মো. মর্ত্তুজ আলী বলেন, কৃষকরা সঠিক মাত্রায় সার ব্যবহার করছে, ফলে ফলনও ভাল হচ্ছে। জেলায় ৪২৩ হেক্টর জমিতে এবার মাল্টা উৎপাদন হয়েছে ৩ হাজার মেট্রিক টনের বেশি।