নিউজ ডেষ্ক- বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন হচ্ছে সুন্দরবন। ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্থানও এটি। যার সৌন্দর্য দেখতে প্রতি বছরই কয়েক লাখ পর্যটক ভিড় জমান স্থানটিতে। সময়ের সাথে করোনার প্রকোপ কমে আসায় ভ্রমণপিপাসুদের সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন।
রোমাঞ্চকর ভয় আর শিহরণ, সঙ্গে প্রকৃতির সৌন্দর্য, সব কিছুই ভালো লাগার মতো। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের চোখ ধাঁধানো নৈস্বর্গিক সৌন্দর্যে বিমোহিত হন ভ্রমণপিপাসুরা। প্রকৃতির নিজ হাতে গড়া এই বন দেখে মুগ্ধ হন এখানে আসা পর্যটকরা। এখানে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, মায়াবী চিত্রা হরিণ, কুমির আর বানরসহ নানা স্থল এবং জলজ প্রাণীসমূহ। এখানে দেখা মেলে ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর।
সময় যত যাচ্ছে ততই এখানকার স্পটগুলোতে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে। ঘুরতে এসে দারুণ পুলকিত এখানে আসা দর্শনার্থীরা। ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে আসা এক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, এখানে না এলে জানতেই পারতেন না সুন্দরবন দেখতে এত সুন্দর। জোয়ার-ভাটার দৃশ্য খুবই মনোরম। সুন্দরবনে কচ্ছপ, বানর, হরিণ, কুমির ও বিভিন্ন ধরনের পাখি দেখতে পান তিনি। তার স্কুলপড়ুয়া দুই মেয়ে সুন্দরবন ঘুরতে এসে খুবই আনন্দিত।
দিনাজপুর থেকে আসা এক পর্যটক বলেন, দিনাজপুরে রামসাগরসহ বিভিন্ন দেখার দর্শনীয় স্থান রয়েছে। কিন্তু সুন্দরবনের রূপ সব থেকে আলাদা। জাহাজে আইড়, লইট্যা, ছুরি, রূপচাঁদা আর সামুদ্রিক নাম না জানা বিভিন্ন সুস্বাদু মাছ খেয়ে তারা অনেক বেশী আনন্দিত।
সুন্দরবন করমজল পর্যটন স্পট স্টেশন কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, “সুন্দরবনে পর্যটকের সংখ্যা আগের থেকে বেড়েছে। বিশেষ করে ছুটি থাকলে পর্যটকের সংখ্যা তুলনামূলক বেড়ে যায়। পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা দিতে বন বিভাগ সচেষ্ট রয়েছে। এ মুহূর্তে সুন্দরবনে কয়েকটি পর্যটন স্পট উন্নয়নের কাজও চলছে। এগুলো সম্পন্ন হলে আরো পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে।”
সুন্দরবনে প্রতি বছর গড়ে প্রায় দু থেকে তিন লাখ পর্যটক ভ্রমণে আসেন। বন বিভাগের দাবি, নতুন নতুন আরও স্পট বাড়াতে পারলে দেশের রাজস্ব আয়ের একটা বড় উৎস হতে পারে এটি।