নিউজ ডেষ্ক- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটি গ্রামের চাষি আবু জাফর মালচিং পদ্ধতিতে কালো তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন। সিরাজগঞ্জ সদরে আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কালো তরমুজ চাষাবাদ করেন। তাকে দেখে অনেকেই কালো তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
জানা যায়, ২৫ শতক জমিতে ৪০০টি কারিশমা জাতের তরমুজের চারা রোপণ করে। চারা রোপণের ২ মাস পর থেকে ফল বিক্রি শুরু হয়। এখনো পর্যন্ত ১০০ টাকা কেজি দরে ৩০০ কেজি তরমুজ বিক্রি করেন তিনি।
চাষি আবু জাফর বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে কালো তরমুজের চাষাবাদ করি। ২৫ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করতে খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। সবকিছু ঠিক থাকলে যে পরিমাণ গাছ আছে, তা থেকে আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার কেজি ফলন পাওয়া যাবে। যার আনুমানিক দাম হবে ১ লাখ টাকারও বেশি।
সিরাজগঞ্জ সদরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রোস্তম আলী বলেন, ঘন ও মাচাং ও মালচিং পদ্ধতিতে ১ বিঘা জমিতে ১ হাজার থেকে ১২০০টি কারিশমা জাতের বারোমাসি তরমুজের চারা রোপণ করা যায়। রোপণের ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যেই এই জাতের তরমুজ বিক্রয়ের উপযোগী হয়। ১ থেকে দেড় ফিট দূরত্বে রোপণকৃত প্রতিটি গাছে ফল হয় ১ থেকে ৪টি হয়ে থাকে। প্রতিটির ওজন আড়াই থেকে ৩ কেজি।
তিনি আরও বলেন, প্রদর্শনী প্রকল্প হিসেবে চাষাবাদ করে আমরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছি। এ জাতের তরমুজ বারোমাস চাষ করা যায়। কারিশমা জাতের তরমুজের বাজারমূল্যও বেশি। উপজেলার কৃষকদের কারিশমা জাতের তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বেশি পরিমাণে চাষাবাদ হলে আমরা এর জন্য একটা বাজার তৈরি করতে পারবো। এতে করে কৃষকরা খুব সহজেই ভালো দামে বিক্রি করতে পারবে।