নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার জানিয়েছেন, ‘নির্বাচন বিষয়ে ভিন্নধর্মী অবস্থানের কারণে তার চিকিৎসা নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপিতে এই কথা জানান তিনি।
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনারদের চিকিৎসাবিধি অনুযায়ী আমার চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ করা হয়েছে। সিইসি নিজেও ইসি থেকে চিকিৎসার জন্য টাকা নিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রোগের যথাযথ চিকিৎসা পাওয়া আমার মৌলিক অধিকার। এই কারণেই আমি এখন পর্যন্ত বেঁচে আছি। নির্বাচন বিষয়ে আমার ভিন্নধর্মী অবস্থান রয়েছে। যে কারণে প্রতিহিংসা থেকে আমার চিকিৎসার নিয়ে এমন মিথ্যাচার করেছেন সিইসি।’
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘গত ২৭ জানুয়ারি সিইসি কে এম নুরুল হুদা নির্বাচন ভবনে এক প্রেস কনফারেন্স করেন। সেখানে আমার চিকিৎসার জন্য বছরে ৩০ লাখ থেকে ৪০ লাখ টাকা ব্যয় করেছে ইসি বলে জানিয়েছেন। তবে উনি খরচের প্রকৃত হিসাব দেননি।’
তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার আমাকে রোগাক্রান্ত বলে উল্লেখ করেছেন। আমি কখনও আইসিইউ বা কখনও সিসিইউতে থাকি। তবে ইচ্ছা করলেই কেউ সেখানে থাকতে পারেন না। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে অবহিত করা দরকার বলে আমি মনে করি।’
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পায়ের রগ কেটে রেলকর্মীকে হত্যা
নির্বাচন কমিশনার হওয়ার পর থেকেই প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত উল্লেখ করে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘ক্যানসার কালক্রমে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। আমি সিঙ্গাপুর ও ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাসপাতালের চারজন চিকিৎসকের সমন্বয় গঠিত মেডিকেল বোর্ড দুই দফা আমার শারীরিক পরীক্ষা করেছেন। তারা আমাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমোদন দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনারদের চিকিৎসাবিধি অনুযায়ী আমার চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ করা হয়েছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘তবে গত দুই বছরে আমি চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে বিদেশে যাইনি। বরং সেজন্য এসময়ে নিজের খরচে আমেরিকা গিয়েছি। বর্তমানে কর্মরত এবং অবসরপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনাররা বিধি অনুযায়ী কমিশন থেকে চিকিৎসার খরচ নিয়ে থাকেন। কে এম নূরুল হুদা নিজেও সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য টাকা নিয়েছেন।’