নিউজ ডেস্ক- দল ঘোষণার ঠিক পরেই গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যায় চিঠি দিয়ে নিউজিল্যান্ড না যাওয়ার বিষয়টি জানান সাকিব আল হাসান। বিসিবিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলে দিয়েছেন, পারিবারিক কারণে তার পক্ষে এই সফরে যাওয়া সম্ভব হচ্চে না।
তাহলে এখন কি করবে বিসিবি? এক নম্বর ওপেনার ও দলের অন্যতম ব্যাটিং স্তম্ভ তামিম ইকবাল ও দলে নেই। আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও চলে গেলেন অবসরে। এর মধ্যে সাকিবও যদি না থাকেন, তবে তো দলের শক্তির অর্ধেকটাই থাকবে না।
নিউজিল্যান্ডর ফাস্ট ও বাউন্সি পিচে ঐ তিন প্রধান স্তম্ভ ছাড়া খেলতে যাওয়া আর খালি হাতে হিমালয়ের চূড়ায় ওঠা একই কথা। আর এমন অবস্থায় সাকিবের ছুটির আবেদন গ্রহণ করবে বিসিবি?
গতকাল এ প্রসঙ্গ উঠতেই বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন কথা প্রসঙ্গে বলে ফেলেছেন, ‘আগে সাকিব লিখিত দিক, দেখি আমরা দেখি সে কী কারণে ছুটির আবেদন করেছে। তামিমের মতো অপরিহার্য সদস্যকেক আমরা নিউজিল্যান্ড সফরে পাচ্ছি না। কাজেই আমরা আগে দেখি সাকিব কী কারণ দেখায়!’
সাকিবের দেশের বাইরে প্রতিকূল কন্ডিশনে খেলতে না যাওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। যার শুরুটা হয়েছিলো ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে না যাওয়া দিয়ে। তারপর ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ড সফরেও ছিলেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এবারও যাবেন না নিউজিল্যান্ড সফরে।
এখন কথা হলো, সাকিব ‘না’ বললেই তো সব হয়ে গেলো না। বোর্ডের পক্ষ থেকে ছুটি মঞ্জুর করতে হবে। সাকিবকে এই মুহূর্তে ছুটি দেওয়া হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার শুধুই বোর্ডের। তবে দল ঘোষণার ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও সাকিবকে নিয়ে পরিষ্কার কোন ঘোষণা আসেনি বিসিবির কাছ থেকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাকিব ইস্যুটি দেখবেন স্বয়ং বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। বোর্ডের একাধিক শীর্ষস্থানীয় কর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমবার ঢাকা টেস্ট দেখতে মাঠেই থাকবেন বিসিবি সভাপতি। সেখানেই তার কাছে সাকিবের আনুষ্ঠানিক চিঠিটি পেশ করা হবে। এরপর সাকিবের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন পাপন।