নিউজ ডেষ্ক- অবশেষে গতকাল সোমবার দুপুরে নড়াইলে মধুমতী নদীর ওপর নির্মিত দেশের প্রথম ছয় লেনবিশিষ্ট মধুমতী সেতু খুলে দেওয়া হয়েছে। রাত থেকেই শুরু হয়েছে গাড়ি পারাপার। মধুমতী সেতু পারাপারের জন্য সাইকেল-রিকশা-ভ্যানে টোল দিতে হবে পাঁচ টাকা। বড় বাসের ক্ষেত্রে ২০৫ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক শ্যামল ভট্টচার্য এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, সেতু বিভাগ কর্তৃক মধুমতী সেতু পারাপারে যে টোল নির্ধারণ করা হয়েছে, তার আওতায় বড় ট্রেলার ৫৬৫ টাকা, তিন বা ততোধিক এক্সেল বিশিষ্ট ট্রাক ৪৫০, দুই এক্সেল বিশিষ্ট মাঝারি ট্রাক ২২৫, ছোট ট্রাক ১৭০ টাকা, কৃষিকাজে ব্যবহৃত পাওয়ার ট্রিলার ও ট্রাক্টর ১৩৫, বড় বাসের ক্ষেত্রে ২০৫, মিনিবাস বা কোস্টারের ক্ষেত্রে ১১৫ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
এদিকে মাইক্রোবাস, পিকআপ, কনভারশনকৃত জিপ ও রেকার ৯০ টাকা, প্রাইভেট কার ৫৫, অটোটেম্পো, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, অটোভ্যান ও ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যান ২৫, মোটরসাইকেল ১০ টাকা এবং রিকশা, ভ্যান ও বাইসাইকেলের ক্ষেত্রে পাঁচ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে শুরুতে টোল আদায় করা হচ্ছে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। সেতুর আটটি টোল প্লাজা প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আগামী ১ নভেম্বর থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে টোল নেওয়া হবে। মধুমতী নদীর ওপর এ সেতুর পূর্ব পারে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার শংকরপাশা এবং পশ্চিম পারে নড়াইলের লোহাগড়া অংশ। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে এ সেতু নির্মিত হয়েছে।
এ বিষয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক শ্যামল ভট্টাচার্য জানান, আটটি বুথের টোল প্লাজা পুরোপুরি প্রস্তুত। আগামী ১ নভেম্বর থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে টোল নেওয়া হবে। এর আগে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল আদায় হচ্ছে।