নিউজ ডেষ্ক- সাংবাদিকদের অনেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরকারের শত্রু বানাতে প্রচারণা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, যে বিষয়গুলোর ধারে কাছে আমি বলি নাই, সেগুলো সাংবাদিকরা প্রকাশ করেছেন। তারা কোন উদ্দেশ্যে এমন মিথ্যা প্রচারণা করছেন জানি না। এতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার মনে করবে আমরা বোধহয় তাদের শত্রু। এমনভাবে প্রচারণা করেছে যে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে শত্রু বানানোর প্রচেষ্টা করা হয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক ও লজ্জাজনক।
শনিবার দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে অসোসিয়েশন অব ফরমার বিসিএস (এফএ) অ্যাম্বাসেডরসের (এওফা) পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, আমি গত ২৬ তারিখে জাতীয় প্রেস ক্লাবে কলামিস্টদের একটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করি। সেখানে আমি যে বক্তব্য দিয়েছি, সেই বক্তব্যের সঙ্গে ১৭টি মিডিয়ার হেডলাইনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। হেডলাইনগুলো বলেছে, আমেরিকা যুদ্ধবাজ অমুক-তমুক। এই কথা আমাদের মুখেও আসে না। গণমাধ্যম যে তথ্য দিয়েছে তা মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক।এসব গণমাধ্যমের মধ্যে টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়া রয়েছে।
সাংবাদিকদের ‘দুর্বল’ ও ‘অপরিপক্ব’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে সাংবাদিকতা যারা করেন তাদের মধ্যে দুর্বলতা আছে। তাদের পরিপক্বতা দরকার। সাংবাদিকরা যারা এটা করেছেন তাদের জন্য এটা লজ্জার বিষয়। আর আপনাদের (গোপালগঞ্জের সাংবাদিকদের) জন্য দুঃখের বিষয়। আপনাদের সহকর্মীরা এ ধরনের বানোয়াট কথা বলেন। ‘
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘সাংবাদিকরা হয় বাংলা বোঝেন না অথবা ইচ্ছা করে এ ধরনের মিথ্যা প্রচারণা করেছেন উদ্দেশ্যমূলকভাবে। মিথ্যা প্রচারণার ফলে যেটা অসুবিধা হয়েছে তা হলো যুক্তরাষ্ট্র সরকার মনে করবে আমরা তাদের শত্রু। যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে শত্রু বানানোর জন্য প্রচারণা চালানো হয়েছে। ‘
বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ও লজ্জাজনক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এ জন্য সাংবাদিকদের গবেষণা করা উচিত। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাবেক রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পরে তারা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।