নিউজ ডেষ্ক- বিএনপির বিরুদ্ধে রঙ ছড়িয়ে ব্লেইম-গেইমে লিপ্ত হয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, নিশিরাতের সরকারের কাছে জনগণ সুনির্দিষ্টভাবে কয়েকটি প্রশ্নের জবাব জানতে চায়।
১. ২০০৪ সালে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় কেন যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেছিলেন?
২. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন— তার সন্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি জোগাড় করতেও নাকি কষ্ট হয়েছিল, তা হলে লবিস্ট নিয়োগের জন্য বিপুল ডলারের জোগান দিল কে ?
৩. ওইসব ডলারের উৎস কী ?
৪. রাষ্ট্রের শতকোটি টাকা খরচ করে ২০১৪ সাল থেকে কী কারণে, কী উদ্দেশ্যে ‘বিনাভোটের সরকারকে’ যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করতে হয়েছে?
৫. লবিস্ট নিয়োগ করতে রাষ্ট্রের এ পর্যন্ত কত কোটি টাকা খরচ হয়েছে?
৬. কোন খাত থেকে কীভাবে লবিস্টদের টাকা দেওয়া হয়েছে?
৭. এত বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগের কথা জনগণকে কেন জানানো হয়নি?
রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতার লোভে নিজেদের অপকর্ম ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে নিশিরাতের সরকার এখন প্রতিদিন বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। অথচ সম্প্রতি নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের এক অনুষ্ঠানে প্রভাবশালী মার্কিন কংগ্রেসম্যান এবং হাউস কমিটি অন ফরেন অ্যাফেয়ার্সের চেয়ারম্যান গ্রেগরি ডব্লিউ মিকসের বক্তব্য নিয়েও তারা মিথ্যাচার করেছিল। মিকস স্পষ্ট করেই বলেছেন, বাংলাদেশে যে সাতজনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এটি কারও সুপারিশের কারণে নয়, বরং যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এই স্যাংশন আরোপ করেছে। সুতরাং অন্য কাউকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। এর দায়দায়িত্ব নিশিরাতের সরকারকেই নিতে হবে।