নিউজ ডেষ্ক- ঢাকার ধামরাইয়ে চেয়ারম্যানের বাধা উপেক্ষা করে প্রায় ৩০ বছরের পুরনো একটি সরকারি রাস্তা গত চারদিন যাবৎ ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে খাল ভরাট করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। ধামরাইয়ের গ্রোমগ্রাম বাজার থেকে দক্ষিণ গ্রোমগ্রাম পর্যন্ত ১০ ফুট প্রস্থ ও প্রায় এক কিলোমিটার এ সরকারি রাস্তা কাটার কারণে ট্রাকসহ সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ধামরাই ও মির্জাপুর উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রামের মানুষের প্রতিনিয়ত চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ধামরাইয়ের যাদবপুর ইউনিয়নের গ্রোমগ্রাম বাজার থেকে ধামরাইয়ের কুশুরা পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকায় ১৯৯১ সালে সরকারি টাকায় সরকারি খালের পাশ দিয়ে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির ওপর দিয়ে একটি কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করা হয়। স্বাধীনতার আগে থেকেই পায়ে হাঁটার রাস্তা ছিল এখানে। ইতিমধ্যে ৪ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ হয়েছে। বর্তমানে এ রাস্তা দিয়ে মির্জাপুর ও ধামরাইয়ের যাদবপুর, বাইশাকান্দা, বালিয়া ও কুশুরাসহ ১০-১২টি ইউনিয়নের প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আসা-যাওয়া করেন।
এ বিষয়ে গ্রোমগ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা নিত্যনন্দ রায় বলেন, “স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই আমরা এ রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করে আসছি। কিন্তু এখন এ রাস্তার মাটি কেটে খাল ভরাট করছে প্রভাবশালী একটি মহল। আর আমি এর প্রতিবাদ করলে শাজাহান মিয়া আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন। প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধির অনুমতি ছাড়া সরকারি রাস্তার মাটি কেটে সরকারি খাল ভরাট করার বিষয়ে দুঃসাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে তারা।
এ বিষয়ে গ্রোমগ্রামের শাজাহান মিয়া বলেন, “রাসত্মাটি ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির ওপর দিয়ে করা হয়েছিল। তাই আমরা কয়েকজন রাস্তার মাটি কেটে সরকারি খালের মধ্যে ফেলে রাস্তা করতেছি। চলাচলে মানুষ দুর্ভোগ পোহালে এতে আমাদের কিছু করার নেই। এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।