নিউজ ডেষ্ক- সায়াবিন তেলের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষ ভোগোন্তির শেষ ছিল না। তেলের দাম ২০০ টাকা হওয়ার পর, নিম্নবিত্ত পরিবার গুলো অসুবিধায় পরেছে। সম্প্রতি সময়ে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমেছে। এর ফলে দেশের বাজারে সায়াবিন তেলের দাম ১৯৯ টাকা থেকে লিটারপ্রতি ১৪ টাকা কমিয়ে ১৮৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
তবে রাজধানীর অধিকাংশ বাজারে এখনও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বোতলজাত সয়াবিন তেল। বিক্রেতারা জানান, অধিকাংশ কোম্পানিগুলো এখনো নতুন দামের তেল সরবরাহ শুরু করেনি।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রায় সবাই বোতলের গায়ের মূল্যে তেল বিক্রি করতেছে। তবে কিছু কিছু দোকানদার কমেও বিক্রি করতেছে।
মোহম্মদপুর কৃষি মার্কেটে বাজার করতে আসা জাবেদ হোসেনের সাথে কথা হলে জানান, সরকার তেলের দাম কমিছেয়ে। কিন্তু দোকাদার ত আগের দামই রাখতেছে। বলেছি কমেছে কম রাখেন, তখন বলে গায়ের মূল্য যা তা ত দিবেন।
মহাখালী কাঁচা বাজারে এক ক্রেতার সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, দাম কমেছে ঠিকই। আমরা কমে কিনতে পারতেছি না। এমন দাম কমা আর না কমা একই কথা।
তবে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) থেকেই বাজারে নতুন দামের তেল বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
শুক্রবার (২২ জুলাই) নিউমার্কেট বাজারের এক মুদি দোকানি জানান, এক লিটার সয়াবিন তেল ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন। কারণ আগে থেকে কিনে রাখা তেল বিক্রি এখনও শেষ হয়নি। আরেক দোকানি বলেন, সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
তবে বাজার ঘুরে এক লিটার বোতলের সয়াবিন তেল ১৯৫ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৯৫০ থেকে ৯৬০ টাকায় বিক্রি করতেও দেখা গেছে।
বাজারে এক ক্রেতা বলেন, সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই দাম বাড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু এখন দাম কমানোর ঘোষণা তিন-চার দিন আগে দেওয়া হলেও নানা অজুহাতে এখনও কমে সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।