নিউজ ডেষ্ক-ভোলা থেকে সমুদ্রগামী জেলেদের সুরক্ষায় চালু হতে যাচ্ছে গ্লোবাল সিস্টেম অব মোবাইল নেটওয়ার্ক (জিএসএম) সুবিধা। দূর্যোগের সময় জেলেদের সতর্কবার্তা, ঝড়ের পূর্বাভাস ও আগাম সতর্ক করতে ১ হাজার ৬২০টি ট্রলারে এই সুবিধা দেওয়া হবে।
মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যেগে এই কার্যক্রমে বাস্তবায়ন হলে জেলেরা দূর্যোগকালীন সময়ে নিরাপদে অবস্থান করতে পারবে এবং দূর্যোগে ক্ষয় ক্ষতি কমে আসবে। জেলা মৎস্য বিভাগের উদ্যেগে ইতোমধ্যে চরফ্যাশন উপজেলায় বেশ কিছু ট্রলারে এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আগামী এক মাসের মধ্যে সব ট্রলার এই সুবিার আওতায় আসবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাতউল্লাহ জানান, জেলার ৭ উপজেলায় ১ হাজার ৬২০টি ট্রলারের মধ্যে সদর উপজেলায় ১হাজার ৭০টি ট্রলার, দৌলতখানে ২৫০টি, বোরহানউদ্দিনে ১০০টি, তজুমদ্দিনে ৩০০টি, লালমোহনে ১৩০টি, চরফ্যশনে ৪০০টি ও মনপুরায় ৩০০টি ট্রলারে এই সুবিধা দেয়া হবে।
তিনি জানান, সম্প্রতি চরফ্যশনে ৩০টি ট্রলারে এই নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা চালু হয়েছে। খুব শিগগিরই অন্য উপজেলায় এই কার্যক্রম শুরু করা হবে। ফলে সহজেই জেলেদের মনিটরিং ব্যবস্থার আওতায় আনা যাবে।
জেলেরা জানান, প্রতি বছরই ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করে গভীর সমুদ্রে জেলেদের মৎস্য শিকারে যেতে হয়। অনেক সময় দূর্যোগের সতর্কবার্তা পৌঁছায় না তাদের কাছে। ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে, প্রাণ হারাতে হয় জেলেদের। তাই মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু হলে দুর্ঘটনা কমে আসবে। মাছ শিকারে নিরাপত্তা পাবেন তারা।
জেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, সরকার জেলেদের জিএসএম’র সুবিধার আওতায় আনার যে উদ্যোগ নিয়েছে আমরা এটাকে সাধুবাদ জানাই। শুধুমাত্র আগাম দূর্যোগের খবর না পাওয়ার কারণে প্রতিবছর বহু ট্রলার ডুবি ও জেলেদের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। তাই নেটওয়ার্ক সিস্টেম চালু হলে জেলেদের অবস্থান নির্ণয় করা সহজ হবে এবং তারা উপকৃত হবে। রক্ষা পাবে জেলেদের জান মাল।