প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্দেশ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, দুই বছর পর আপনি গতকাল (বৃহস্পতিবার) অভ্যন্তরীণ থেকে বেরিয়েছেন, অনুগ্রহ করে যে কোনো একজন শ্রমিকের বাড়িতে যান। তার দুপুরের খাবারের প্লেটটা দেখেন।
তাদের খালি প্লেটটা দেখলে আপনার চোখ কান্নায় ভেসে যাবে। আজ শ্রমিকেরা যদি অন্ন না পায় তাহলে কলকারখানা টিকে থাকবে না, দেশ টিকে থাকবে না।শুক্রবার (১৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গার্মেন্টস শ্রমিকদের গণতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে
আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে রেশনিং ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নাই। দুই কোটি নাগরিকে প্রত্যেক সপ্তাহে রেশনিং দিতে হবে। সেখানে যেন দুর্নীতি না হয় তার জন্য সর্বদলীয় কমিটি গঠন করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা শ্রমিক ভাইদের বলছি, রাস্তায় থাকা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আপনাদের আন্দোলন চালু রাখতে হবে। আমার শরীর যতই খারাপ হোক আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। আমরা সম্মিলিতভাবে এ দুঃশাসন থেকে জনগণকে মুক্ত করবো।
দলীয় শাসকের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, আজ নিরপেক্ষ বলেন, জাতীয় সরকার বলেন, সর্বদলীয় সরকার বলেন, নতুন আইন করে গরিবের ভাগ্য নিশ্চিত করতে না পারলে দেশ টিকবে না। আজ সেইটাই আহ্বান করছি। আপনি অতিসত্বর পদত্যাগ করে জনগণের কাতারে আসেন। চলেন আমরা প্রত্যেক কৃষক শ্রমিকের বাড়ি যাই। দেখি তারা কেমন আছে। তবেই বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবে। আপনাকে স্মরণ করবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, আমরা ২৮ তারিখ অর্ধবেলা হরতাল দিয়েছি। এটা আমাদের সবার জন্য। এটি দুর্নীতি ও অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে জনগণের হরতাল। সবাই এতে যোগদান করবেন। আগামী ২৪ তারিখ ও আমাদের একটি সমাবেশ আছে সবাইকে সেখানে থাকার আহ্বান করছি। আমাদের সম্মিলিত উদ্যোগেই জাতি বাঁচাবে, দেশ বাঁচাবে। মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিপ্লবী ওয়ার্কস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইদুল হকসহ আর অনেকে।