নিউজ ডেষ্ক- প্রথম ছয় ওভারে আবারো সেই ব্যাটিং বিপর্যয়। প্রথম ছয় ওভারে মাত্র ১৫ রান করতেই বাংলাদেশের তিন উইকেট শেষ। ওপেনার নাইম শেখের সাথে নতুন করে দলে আসা নাজমুল হোসেন শান্ত কিংবা সাইফ হাসান কেউই এদিন ব্যাট হাতে নামের পাশে সুবিচার করতে পারেনি। দুজনেই ফিরে গেছেন দুই অঙ্কের ঘরে পৌছানোর আগেই। আফিফকে সাথে নিয়ে দলের হাল ধরতে চেষ্টা করেন কাপ্তান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু তাও খুব একটা কাজে দিলো না। আট ওভার শেষে দলের স্কোর ৩৬।
ব্যাট হাতে সুবিদা করতে পারেননি রিয়াদও। ১১ বল খেলে ৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান টাইগার অধিনায়ক। প্রথম দশ ওভারে স্কোরবোর্ডে টাইগাররা তুলে ৪০ রান। যদিও দলীয় ১১ তম ওভারে আফিফের দুই ছক্কাতে নিয়ে আসে ১৫ রান। ১২ তম ওভার শেষে বাংলাদেশের রান দিয়ে দাঁড়ায় ৬০। এরপর বিদায় নেন আফিফও। সাদাব খানের শিকার হন এই বাঁ-হাতি ক্রিকেটার।
৩৪ বলে ৩৬ করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আফিফ হোসেন। ঠিক সেখান থেকেই যেন দ্বায়িত্ব নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন নুরুল হাসান সোহান। ১৬ ওভারে ৯২ রানে পৌঁছায় বাংলাদেশ যেখানে নুরুল হাসান সোহানের ব্যাট থেকে আসে গুরুত্বপূর্ণ ২১ বলে ২৮ রান। হাসান আলির বলে কট বিহাউন্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন সোহানও।
কিন্তু শেষ দিকে শেখ মাহেদীর দারুন ব্যাটিংয়ে অন্তত একটা ফাইট করবার মত রান স্কোরবোর্ডে জমা করতে পারে বাংলাদেশ। ১৯ তম ওভারে ১১ রান করবার পর বাংলাদেশের সংগ্রহ দাড়ায় ১১২ রান। হ্যারিস রউফের শেষ ওভারের প্রথম বলেই স্কুপ খেলেই ছক্কা মারেন মাহেদী। শেষ বলে তাসকিনও ছক্কা মেরে বসলে শেষ ওভারে হ্যারিস রউফের ওভার থেকে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১৫ রান। যার ফলে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাড়ায় ১২৭ রান। জিততে হলে পাকিস্তানকে করতে হবে ১২৮ রান।